প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩, ০২:০৩ এএম
লা পেটিট মোর্ট! এই তিনটে শব্দ ফরাসি ভাষার। যার অর্থ স্বল্পকালীন মৃত্যু! ফরাসি ভাষায় এটি-ই অর্গ্যাজমের সমার্থক বিশেষণ।
কোন পুরুষের অস্বীকার কারার কোন উপায় নেই যে ক্লান্ত হোন না , মৈথুনের পরে বীর্যপাত ঘটার ফলে পুরুষেরা এমনিতেই ঈষৎ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সারা শরীর তখন আলস্যের ঘোরে থাকে, কাজের চিন্তাও তখন সঙ্গে সঙ্গেই মাথায় আসে না। সব মিলিয়ে এই অবস্থা যেন অভ্যস্ত জীবনযাত্রা থেকে একটুক্ষণের বিরতি। সেই জন্যেই ফরাসি ভাষায় অর্গ্যাজমকে বলা হচ্ছে স্বল্পকালীন মৃত্যু।
কিন্তু ক্লান্তি যদি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে দেখা দেয়? মস্তিষ্কও সাড়া দেয় না তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতায়? সে ক্ষেত্রে কি ব্যাপারটাকে আদৌ সুস্থ বলে ধরে নেওয়া যায়?
ভারতীয় বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল জানাচ্ছেন যে এ ক্ষেত্রেও তাকে স্বাভাবিক বলেই ধরে নিতে হবে। নাম প্রকাশ না করে এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন এক ব্যক্তির কথা। তিনি চিঠি মারফত জানিয়েছিলেন পল্লবীকে- রতিক্রীড়ার অব্যবহিত পর থেকেই তিনি প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করেন, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ঘুম এসে যায়।
বীর্যপাত হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সারা শরীরই যে শুধু হালকা হয়ে যায়, তা নয়, পাশাপাশি কিছু ভাবার ক্ষমতাও সাময়িক ভাবে হারিয়ে ফেলেন তিনি! বলাই বাহুল্য, শুধু ওই ব্যক্তি নন, এমন সমস্যার সম্মুখীন হন সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক পুরুষ-ই! সেটা নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তা থাকাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই এই পর্বে পল্লবী মৈথুনের পরের অব্যবহিত ক্লান্তি, তার থেকে ঘুম এবং মস্তিষ্কের নিষ্ক্রিয় দশা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
[57517
ভারতীয় বিশেষজ্ঞা পল্লবী সবার আগে এটা উল্লেখ করতে ভোলেননি যে আমাদের শরীরে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কোনও না কোনও হরমোন। তিনি বলছেন যে অর্গ্যাজমের নেপথ্যেও কাজ করে সেরোটোনিন, ভেসোপ্রেসিন আর অক্সিটোসিন নামের তিন হরমোন। এর মধ্যে প্রথমটা নিদ্রাচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে, দ্বিতীয়টা ভালো ঘুমের সহায়ক হয় আর তৃতীয়টা শরীরকে শান্ত রাখে। কাজেই কারও ক্ষেত্রে অর্গ্যাজমের সময়ে যদি এই তিন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়, তাঁর মৈথুনের ঠিক পরে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়াই স্বাভাবিক, মাথাও এ ক্ষেত্রে কাজ করবে না- এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কেউ যদি দিনভর প্রচণ্ড পরিশ্রম করে ঘুমোনোর আগে মৈথুনে রত হন, তাঁর ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।