প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩, ১২:৪৭ এএম
কেউ ঘুমায় সোজা হয়ে। কারও আবার কোলবালিশ ছাড়া ঘুম হয় না। আবার কারো চোখে ঘুম আনতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে ১০০ গুনতে হয়। আসলে এক এক জনের ঘুমের অভ্যেস এক এক রকম। তার মধ্যে আবার ছেলে এবং মেয়েদের ঘুমের ধরনই একেবারে আলাদা।
ঘুম ব্যক্তি বিশেষে এক এক রকম। তবে পুরুষ-নারীর ঘুমের রকম ফের অনেক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব চেয়ে বড় পার্থক্য হলো, ঘুম আসার সময়। অর্থাৎ, সারা দিন ধরে ঘরে বাইরে নানা রকম কাজ করার পর, শুয়ে পড়লেই যে নারীদের চোখে ঘুম চলে আসবে এমনটা না-ও হতে পারে। সে দিক পুরুষরা একটু অন্যরকম। তারা সাধারণত শুয়ে পড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘুমের দেশে পাড়ি দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ‘রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম’ এর প্রধান কারণ। এই কারণেই নারীরা যেভাবে এবং যতক্ষণ ধরে ভালো ঘুমোতে পারেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা আলাদা হয়। কেন পুরুষদের ঘুম নারীদের চেয়ে গভীর হয়, তার বেশ কিছু কারণও আছে।
প্রথম কারণটা হরমোনজনিত। গর্ভাবস্থা, পিরিয়ডের সময়ে নারীদের ঘুমে বার বার ব্যাঘাত ঘটে। আবার এমনিও নারীদের ঘুম যতটা হালকা হয় এবং গাঢ় ঘুম যতটা কম সময়ের হয়, পুরুষদের ক্ষেত্রে তা আলাদা।
চিকিৎসকদের দাবি, ঘুমের সমস্যায় বেশি ভোগেন নারীরা। ঘুমের মধ্যেও নানা রকম চিন্তা ভাবনা মনের মধ্যে বেশি ঘোরাফেরা করে নারীদের। তাছাড়া অনিদ্রাজনিত অসুখবিসুখও তাদের বেশি। শারীরবৃত্তীয় কারণ ছাড়াও পুরুষ এবং নারীদের ঘুমের ভিন্নতার পিছনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ভৌগলিক কারণও দায়ী বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।