প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৭:১৫ পিএম
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত হলো হৃৎপিণ্ড। এটি মানুষের জীবদ্দশায় কখনো বিশ্রাম নেয় না। দিনে অন্তত এক লাখ বার ও জীবদ্দশায় আড়াই বিলিয়ন বার রক্ত পাম্প হয়। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিয়ে মানুষ কম সচেতন।বর্তমানে অনিয়মিত জীবনধারণে কারণে
বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি। এমনকি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু বয়স্করাই নয় বরং অকালেও অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন হার্ট অ্যাটাকে। হার্টের ধমনী ব্লক হয়ে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। যখনই হার্টের ধমনী ব্লক হয়ে যায় ও রক্ত চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখনই শরীরে একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। যাকে হার্ট অ্যাটাকের আগাম সতর্কতা সংকেতও বলা যেতে পারে। যদি সঠিক সময়ে এসব লক্ষণ
বুঝে ব্যববস্থা নেওয়া হয় তাহলে রোগী প্রাণে বেঁচেও যেতে পারেন। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়- ১. এনজাইনা বুকে ব্যথার কারণে বুকে, চোয়ালে, ঘাড়ের বাম পাশে বা মাঝখানে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছাতে না পারলে এই ব্যথার সৃষ্টি হয়। ২. আরও একটি লক্ষণ হলো বুকে জ্বালাপোড়া। যা বেশিরভাগ মানুষই
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা ভেবে ভুল করেন। এই লক্ষণও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আগে দেখা দিতে পারে। ৩. ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় হার্ট অ্যাটাকের আগে। এক্ষেত্রে বুকে ব্যথা নাও প্রকাশ পেতে পারে। এটি সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম এক লক্ষণ। ৪. বুক ধড়ফড় করা বা হৃৎস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে কিংবা কমে যাওয়াও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়। এক্ষেত্রে বিশ্রামরত অবস্থাতেও যদি আপনার হার্টবিট দ্রুত ঘটে
তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সাধারণত তীব্র বুকে ব্যথা, ঘাম, চোয়ালে, পিঠে বা বাঁ হাতে শিহরণসহ অস্থির অনুভূতি থাকে। যদি এমনটি ঘটে তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।