প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০১:৫৮ এএম
বসা অবস্থা থেকে হুট করে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে অনেকের মাথা ঘোরার প্রবণতা দেখা দেয়।
মাথা ঘোরার বিষয়টি ভয় পাওয়ার মতো হলেও, এতে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই বলেই জানান- ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের ফ্র্যাঙ্কেল কার্ডিওভাস্কুলার সেন্টারের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট নাদিয়া সাট্যন। তবে তিনি আরো যোগ করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই মাথা ঘোরার বিষয়টি তুচ্ছ ও স্বাভাবিক। তবে ঘনঘন এমনটা হলে, পূর্বের শারীরিক সমস্যার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা প্রয়োজন।
এখন আসা যাক মূল কারণে। কেন বসা অবস্থা থেকে দাঁড়ালে মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়, সেটা খুব জটিল কিছু নয় মোটেও। বসা অবস্থায় রক্তচাপ থাকে একরম। হুট করে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে রক্তচাপে পরিবর্তন আসে। ডাঃ সাট্যন বলেন, ‘বসা থেকে হুট করে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ফলে মধ্যাকর্ষনে পরিবর্তন আসে। যার ফলে শরীরের নিচের অংশের রক্তে টান পড়ে। এতে করে বসা অবস্থা থেকে হুট করা দাঁড়িয়ে গেলে মাথা ঘুরে ওঠার প্রবণতা তৈরি হয়’।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, কোন কারণে তাড়াহুড়ার মাঝে দাঁড়িয়ে গেলে অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন (Orthostatic Hypotension) দেখা দেয়। শরীরের উপরের অংশের রক্তচাপ, বিশেষ করে মাথার অংশের রক্তচাপ কমে যায় দাঁড়ানোর জন্য। এতেই মাথা ঘোরাভাব বা মাথা হালকা বোধ হওয়ার সমস্যাটি হয়। মাথা ঘোরা কিংবা হালকা বোধ হওয়ার এই সমস্যাটি খুবই ক্ষণস্থায়ী। অল্প কিছুক্ষণের জন্য সমস্যাটি দেখা দিলেও, খুব দ্রুত শরীর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা জরুরি। রক্তচাপের সঙ্গে জলস্বল্পতা, মেডিকেশন, হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও নিউরোলোজিক্যাল সমস্যাও জড়িত থাকে।
ডাঃ সাট্যন জানান, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বসা থেকে দাঁড়ানো অবস্থায় মাথা ঘোরার সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। এমনটা হলে তিনি পরামর্শ দেন, পুনরায় চেয়ারে বা শক্ত কোন স্থানে বসে মাথা ঘোরা বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার। এতে করে শরীর মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ও রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে সময় পাবে। নইলে অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দেয়।