প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০২:০৩ এএম
আমাদের দেশে সব ঋতুতেই পেঁপে পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা উভয় পেঁপেই শরীরের জন্য বেশ উপকারী। পেঁপে (পাকা) ও সবজি (কাঁচা) দুই ভাবেই খাওয়া যায়।
পেঁপের গুণাগুণ
কাঁচা পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এই উপাদানটি প্রোটিন হজমের জন্য সাহায্য করে। তাই প্রচুর পরিমাণে গরু, খাসি বা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। যাদের খুব বেশি অ্যাসিডিটি হয়, তাদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী।
অনিয়মিত জীবনযাপন-স্ট্রেস, এমন নানা কারণে প্রায়ই চোখ লাল হয় বেলাগাম কোলেস্টেরলের কারণে। এ ছাড়াও অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হৃদরোগের বিপদ ডেকে আনতে পারে। পেঁপে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগে আক্রান্তর ঝুঁকিও অনেক কম থাকে।
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে একাধিক ভিটামিন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্য়ান্ট এবং ফাইবার। যার ফলে রক্তবাহী ধমনীর স্বাস্থ্য সামগ্রিকভাবে ভালো থাকে।
কাঁচা পেঁপে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এই সবজিতে পাপাইন নামে একটি উৎসেচক থাকে, যা হজমে সহায়ক। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত মিউকাস থাকলে এতে সুবিধা মেলে।
কাঁচা পেঁপে ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকে কাঁচা পেঁপে লাগালেও উপকার পাওয়া যায়। অনেক সময় পুড়ে গেলেও সেখানে পেঁপের শাঁস থেতো করে লাগানো যায়।
ওজন কমাতে অনেকে কাঁচা পেঁপে খান। এর সঙ্গে সরাসরি ওজন কমানোর কোনো যুক্ততা নেই। কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে রাখতে পারেন পেঁপে। এতে ক্যালোরি কম, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।
কাঁচা পেঁপেতে প্রদাহরোধী পদার্থ রয়েছে যা অ্যাজমা, আর্থারাইটিস, বাতের মতো সমস্যায় উপকারী।
রক্তবাহী ধমনীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে কাঁচা পেঁপে। এর পোষকপদার্থ রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
অ্যান্টি-অ্যাজিং ফ্যাক্টর অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সকে দূরে ঠেলে দেওয়ার উপাদান রয়েছে পেঁপেতে। তাই ত্বকের ওপরেও কাজ করে এই ফল। এতে কোনো খারাপ কোলেস্টেরল, চর্বি বা ফ্যাট নেই। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা মিষ্টি পেঁপে পরিহার করুন।