• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমনো শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৯:৫৮ পিএম

দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমনো শরীরের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

অনেকেই দুপুরে খাওয়ার পর কিছুটা ঘুমিয়ে নেন। যাকে বাংলায় বলা হয় ভাত-ঘুম। দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমানোকে যদিও অনেক সময় আলসেমি মনে করা হয়। কিন্তু দশ থেকে কুড়ি মিনিটের ভাত-ঘুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার অনেকে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়ার মধ্যে শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি শরীরের জন্য আদৌ ভালো?

অনেকেই মনে করে দুপুরের ঘুম দিনের বাকি সময় সুন্দর কাটাতে সাহায্য করে আবার অনেকেই বলে এটা শরীরের জন্য ভালো না বিষণ্ণতা সৃষ্টি করে।

আসলে কোনটা সঠিক?

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরের ঘুম পেশিকে আরও শিথিল করে দিতে পারে। তাছাড়া শরীরে স্নিগ্ধ প্রভাব ফেলে। আবার এটি প্রশান্তি দিলেও এর থেকে নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

দিনের মাঝামাঝি সময়ে যেহেতু ৯০ মিনিটের ভাত-ঘুম দেওয়া মুশকিল। এতে দিনের অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১০ থেকে ২০ মিনিটকে ভাত-ঘুমের জন্য আদর্শ সময় মনে করা হয়।

তবে খাওয়ার পরপরই দিনে বা রাতে কখনোই ঘুমানো উচিত নয়। অন্তত শোয়ার ঘণ্টাখানেক আগে হাঁটাচলা করা কিংবা বসে থাকা আবশ্যক, না হলে খাবার হজম হবে না। শরীরে দুর্বলতা দেখা দেবে।

অন্যদিকে শিশুরা দুপুরে ঘুমাতে পারে। আবার যারা অনেক ভোর থেকেই পরিশ্রম করেন শক্তি বাড়ানোতে তাদের জন্য ভাতঘুম ভালো। এ ছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যারা দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণ করেছেন এমন মানুষেরা দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এমনকি যারা অসুস্থ, দুর্বল ও কম ওজনে ভুগছেন তারাও দুপুরে ঘুমাতে পারেন।

অন্যদিকে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী, হজমের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের শরীরে ব্যথা বেশি তারা দুপুরে একেবারেই ঘুমাবেন না।

ভাত-ঘুমের উপকারিতার সপক্ষে অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমাণাদি রয়েছে-

• ন্যাপ হচ্ছে সাঁতার কাটা বা বাইসাইকেল চালানোর মতো।

• ভাত-ঘুম দুপুরের পরে শরীরকে সতেজ করে।
তবে ঘুমানোর কিছু কাজ করা ভালো -

• ভাত-ঘুম নিতে চাইলে শরীর ও মনে উদ্দীপনা তৈরি করে এমন কিছু থেকে সরে আসুন।

• ভাত-ঘুম নিতে চাইলে দিনের এই সময় আসার আগে চা কফি নয়।

• বেশি গরম বা ঠাণ্ডা না, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয় এমন কোন যায়গায় চেয়ার বা সোফায় আরাম করে বসুন। বাসায় থাকলে বিছানায় শুয়ে পড়ুন।

• ঘরের আলো কমিয়ে দিন, শব্দের উৎস নিয়ন্ত্রণ করুন।

• একটুখানি পানি খান।

• যদি চোখ ঢাকার মতো কিছু থাকে সেটি দিয়ে চোখ ঢাকুন, স্থির থাকুন, দীর্ঘ নিশ্বাস নিন।
তবে ২০ থেকে ৯০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ভাত-ঘুম নেওয়া যাবে না। সেটাকে আর ভাত-ঘুম বলা যাবে না। সেক্ষেত্রে সেটা হবে গভীর ঘুম।

আর্কাইভ