• ঢাকা রবিবার
    ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আপনি কি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেচান ? তবে মেনে চলুন কিছু বিশেষ তথ্য , জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০২:৫৮ এএম

আপনি কি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেচান ? তবে মেনে চলুন কিছু বিশেষ তথ্য , জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীর বাইরের রোগ জীবানু থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
এক্ষেত্রে কাজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেম। তবে বয়স বৃদ্ধি ও পারিপার্শ্বিক নানান কারনে এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। এতে করে খুব দ্রুতই অসুস্থতা দেখা দিয়ে থাকে।

কোন ওষুধ সেবনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়ম মেনে চলা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা বিশেষভাবে জরুরি।

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে মনে রাখতে হবে প্রকৃতিক খাদ্য উপাদান রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। আজকের ফিচারে তুলে ধরা হলো পুষ্টিকর ও উপকারী এমন কয়েকটি সবজির নাম, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

আদা
বিভিন্ন খাবার তৈরিতে আদা মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও আদা মূলত সবজি ঘরানার খাদ্য উপাদান। পাকস্থলীর সুস্থ রাখতে এবং বমিভাব দূর করতে, পেটফোলা ভাব ও পেটে ব্যাথার সমস্যা কমাতে আদা ভীষণ উপকারী। আদাতে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে।

রসুন
বহু আগে থেকেই উচ্চরক্তচাপের সমস্যা কমাতে রসুন গ্রহণ করা হয় ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে। এছাড়া রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতেও রসুন উপকারী ভূমিকা পালন করে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কাজ করে।

কাঁচা পেঁপে
খাদ্য পরিপাকের জন্য পেঁপে সবচেয়ে ভালো একটি খাবার। কাঁচা পেঁপেতে থাকে প্যাপাইন নামক অ্যানজাইম। যা বিভিন্ন ধরণের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পেঁপেতে থাকা বেটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন-এ টিস্যু, ত্বক, চোখের স্বাস্থ্য উন্নতিতে এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে।

গাজর
প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে এই একটি সবজি অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। পেঁপের মতো গাজরেও থাকে উচ্চমাত্রার বেটা=ক্যারোটিন। যা চোখ সুস্থ রাখে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কাঁচা হলুদ
এই তালিকার মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত উপাদান সম্ভব হলুদ। হলুদের স্বাস্থ্য উপাকারিতা গুণে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে হলুদের প্রধান উপকারিত হলো, তা ডিটক্সিফাইং উপাদান, যা শরীর থেকে টক্সিন উপাদান বের করে দিতে কাজ করে। এছাড়া হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিনের শারীরিক অসুস্থতার প্রকোপ কমাতেও কাজ করে। হলুদে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ জিংক, আয়রন, বি-গ্রুপ ভিটামিন ও ম্যাঙ্গানিজ ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভূমিকা পালন করে।

আর্কাইভ