প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০১:২৪ এএম
কর্মস্থলে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা তার ওপর ঘর-বাহির সামলাতে গিয়ে নিজের যত্নটাই ঠিক মতো নেওয়া হয় না। যার ফলে সারা দিনটাই কাটে ক্লান্তিময়। সকালের পর থেকেই সামান্য কাজেই যেন শরীর দুর্বল হয়ে পরে। অফিসে গিয়েও ঘুম ঘুম ভাব তৈরি হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সবগুলো সমস্যাই শারীরিক দুর্বলতার লক্ষণ। সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়া না করা, অপর্যাপ্ত ঘুম, এমন কিছু কারণেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া, শরীরের প্রতি অযত্ন তো আছেই। এ ভাবে বেশি দিন চললে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শরীরের যত্ন নিতে প্রতিদিনের জীবনে কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরি-
প্রতিদিনের দৌড়ের জীবনে ঘুমের ঘাটতি থেকেই যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব ঘিরে থাকে। কাজেও ঠিক মতো গতি আসে না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে থাকেন। আবার সে বিষয়টা অনেকে এড়িয়েও যান।
শরীরের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি, সুস্থ থাকতে যত্ন নিন মনেরও।
অনেকেই আছেন, যারা বরাবরই অন্তর্মুখী। সব কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। ফলে এই অন্তর্মুখী চাপ শরীর ও মন উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। ক্লান্ত লাগে। তাই মনে কোনও কথা চেপে না রেখে বরং বলে ফেলুন।
অফিসের ব্যস্ততায় ঘুরতে যাওয়ার সময় পাচ্ছেন না? জীবনে কাজ যতটা গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে সুস্থ রাখা ততটাই গুরুত্ব বহন করে। ব্যস্ততা থাকবে, তার মাঝেও নিজের জন্য সময় আপনাকেই বের করতে হবে। একঘেয়েমি কাটাতে পরিচিত পরিবেশের বাহিরে চলে যান কোথাও। এতে শরীর ও মন ভালো থাকবে। কাজের গতিও ফিরবে।