• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করোলা রসগোল্লা!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ১২:৫২ এএম

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করোলা রসগোল্লা!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

মিষ্টির স্বাদ তো মিষ্টিই হবে, এতদিন তো তাই জানা ছিল। যার কারণে ডায়াবেটিসের রোগীরা মিষ্টি খাওয়াই বাদ দিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার জানা গেল মিষ্টির স্বাদ শুধু মিষ্টিই না, তেতো স্বাদেরও মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে। যা কিনা ডায়াবেটিসের রোগীদের খাওয়ায় কোনো বাধা নেই!

এমনই এক মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে ভারতের মালদহ শহরের হিন্দি স্কুলের সামনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা লাগোয়া মাঠে। রাজা ঘোষের মিষ্টির দোকানে ক্রেতার ভিড়। এক-একটির দাম মাত্র ২০ টাকা। যার ক্রেতা আবার বেশির ভাগই বয়স্ক মানুষ।

এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বড়দিনের কার্নিভালের শেষ রাতে ভারতের ইংরেজবাজার শহরের বালুচরে হিন্দি স্কুলের সামনের মাঠে খাই-খাই মেলার সৌজন্যে বিক্রি হয়েছে এই তেতো মিষ্টি। যা দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। ইংরেজবাজার শহরে এলাকা তেতো রসগোল্লার নাম শুনেই ছুটে এসেছেন ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। তিনি জানান, তার ডায়াবেটিস আছে। মিষ্টি খাওয়া হয়নি দীর্ঘ কয়েক বছর। তেতো মিষ্টি বিক্রি হচ্ছে শুনেই চলে এসেছি। কিছু মিষ্টি বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।

কিন্তু শুধু মেলা উপলক্ষেই এই তেতো মিষ্টি তৈরি করেননি দিয়া দই ভান্ডারের মালিক রাজা ঘোষ। মালদহ শহর থেকে মাত্র প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুচিয়ার মহাদেবপুরে রাজাবাবুদের দই ও মিষ্টি তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানেই বছর কয়েক ধরে অন্যান্য মিষ্টির সঙ্গে ঝাল ও তেতো মিষ্টিও তারা তৈরি করেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেতো মিষ্টি কিনতে অনেকেই নিয়মিত ছুটে যান মুচিয়ার মহাদেবপুরে। ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। চাহিদাও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এবার রাজাবাবুরা চান, এই তেতো মিষ্টি বিদেশেও রপ্তানি করবেন। সেই উদ্যোগ নিচ্ছেন তারা।

মিষ্টি ব্যবসায়ী রাজা ঘোষ বলেন, আজকাল অন্তত ৭৫ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। বিশেষ করে তাদের কথা ভেবেই এই তেতো মিষ্টি তৈরি করছি। যে হারে এই অসুখ বাড়ছে, খুব শিগগিরই একটা সময় আসবে যে, সবাই তেতো মিষ্টিই খুঁজে বেড়াবেন। আমরা মালদহ থেকেই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে এই মিষ্টি রপ্তানি করতে উদ্যোগী হয়েছি। সরকারি সহায়তাও দরকার আছে।

শুধু ঝাল বা তেতো নয়, এগারো রকমের ভিন্ন স্বাদের রসোগোল্লা তৈরি করেন এই ব্যবসায়ী। নাম শুনে অনেকেই হয়তো মুখ ফেরাচ্ছেন। তবে মিষ্টিপ্রেমীরা এক সঙ্গে বিপরীত দুই স্বাদ নিতে ভিড় করছেন।

ওই ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে বহু মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। মিষ্টি পছন্দের খাবার হলেও রোগ আক্রান্তের ভয়ে অনেকেই খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন। তাই সুগার ফ্রি মিষ্টি অনেক আগেই বাজারে নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার সুগারের ভয় কমাতে নতুন সংযোজন তেতো মিষ্টি। এই তেতো রসোগোল্লা তৈরি করা হচ্ছে করলা দিয়ে। বিশুদ্ধ ছানার রসোগোল্লা তৈরি করে চিনির রসে দেওয়া হচ্ছে। সেই রসে দেওয়া হচ্ছে করলা। আবার ঝাল রসোগোল্লায় দেওয়া হচ্ছে কাঁচা মরিচের গুঁড়া।

এ ছাড়াও এই পদ্ধতিতে গাজর, লিচু, আনারসসহ বিভিন্ন স্বাদের রসোগোল্লা তৈরি করছেন তারা। অবশ্যই বাজিমাত করছে তেতো রসগোল্লা।

আর্কাইভ