• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দোকান খুললেই প্রতিদিন সাত হাজার টাকা আয়, নতুন বছরের শুরুতেই তেলেভাজা বিক্রিতে টান!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম

দোকান খুললেই প্রতিদিন সাত হাজার টাকা আয়, নতুন বছরের শুরুতেই তেলেভাজা বিক্রিতে টান!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

বছর শুরুতেই ভাজাভুজি-তেলেভাজা ছাড়ার রেজোলিউশনে স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালি? নাকি তাঁর মন কেড়েছে অন্য রসনা? রবিবার দিন শেষ থেকে এমন কথায় সাত পাঁচ ভেবে চলেছেন তেলেভাজা দোকানি লক্ষ্মীরানী দাস। বছর শুরুতেই লক্ষ্মীলাভে ভাঁটা। কথায় আছে বছরের প্রথমদিন যার ভালো কাটে তার সারা বছর ভালো যায়। যদিও এই ধারণা ভ্রান্ত তবুও মন খারাপ লক্ষ্মীরানী দাসের। বর্ষবরণে জনতা মুখ ফিরিয়েছে তেলেভাজা থেকে বলে দাবি লক্ষ্মীদেবীর।

হলদিয়া পৌরসভার উদ্যোগে হলদিয়ার হলদি নদীর পাড়ে পর্যটকদের জন্য উদ্যান গড়ে তোলা হয়েছে।সেই উদ্যানে প্রতিনিয়ত বহু পর্যটকের আনাগোনা ঘটে থাকে। উদ্যানে ঘুরতে ঘুরতে বা বসে সময় কাটাতে মুখরোচক খাবার খায় অনেকে। তাই উদ্যানের পাশে সারি সারি নানা খাবারের দোকান গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে রয়েছে হলদিয়ার লক্ষ্মীরানী দাসের তেলে ভাজার দোকান। এলাকায় বেশ জনপ্রিয় এই দোকান। শীতকালের সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে বা মুড়ির সঙ্গে আলুর চপ, পিয়াজি, হিংচার চপ, পাঁপড় ভাজা খুবই জনপ্রিয়। আগত পর্যটকদের জন্য হলদিয়া পুরসভার উদ্যানে গঙ্গার ঘাটের কাছে তেলে ভাজার দোকান খুলেছে লক্ষ্মীদেবী।

২০ টাকায় মুড়ির সঙ্গে যে কোনও তেলে ভাজা পাওয়া যায়। পাশাপাশি, আলুর চপ ৭ টাকায়, হিংচার চপ ৮ টাকায়, বেগুনি ৮ টাকায় এবং পিঁয়াজি ৭ টাকায় পাওয়া যায়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভালোই বিক্রিবাটা হয় দোকানে। বছরের প্রথমদিন উদ্যানে জনতার ঢল দেখে ভেবেছিলেন একটু বেশি বিক্রি হবে। তাই সেইভাবে আয়োজন রেখেছিলেন। কিন্তু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও আর পাঁচটা দিনের মতো বিক্রি এদিন হয়নি। ফলে ব্যবসায় মন্দার চিন্তায় মন খারাপ হয়ে যায় লক্ষ্মীদেবীর।

বিক্রি না হওয়ার কারণ জানার চেষ্টা করে জানা গেল, নতুন বছরে পরিবারের লোকজনকে বা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে হলদি নদীর পাড়ে সময় কাটালেও অনেকে পিকনিকের উদ্দেশে বাড়ি থেকে খাবার এনেছে । আবার অনেকে কাছেপিঠে রেস্টুরেন্টে গিয়ে চাইনিজ খাবার খাচ্ছে। এদিন বাগানে বেড়াতে আসা অভিজিৎ কর্মকার বলেন, ‍‍`‍‍`তেলেভাজা মুড়ি তো চলতেই থাকে। আজকের দিনটা রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাব বলে আর এখানের দোকানে যাচ্ছি না।‍‍`‍‍`

অন্যান্য সাধারণ দিনে যেখানে লক্ষ্মীদেবীর পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা বিক্রি হত। সেখানে বছরের প্রথমদিন মাত্র ২৩০০ টাকার বিক্রি হয়েছে। বছরে প্রথমদিন যদি এত কম আয় হয় তাহলে আগামীদিনের ব্যবসার কথা ভেবে চিন্তায় পড়েছেন তেলেভাজা দোকানি লক্ষ্মীরানী দাস।

আর্কাইভ