প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ১০:৩২ পিএম
দেশে ইতোমধ্যে জেঁকে বসেছে শীত। এই সময় ত্বক শুষ্ক হওয়াসহ সর্দি-কাশির মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা নিয়ে অনেকের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন সানস্ক্রিন শুধু গ্রীষ্মে ব্যবহার করা উচিত। কেউ মনে করেন শীতে সূর্য পৃথিবীর কাছে থাকে, এ কারণে এর রশ্মি ক্ষতিকর। এসব ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া কিছুই নয়।
অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন কমানোর জন্য অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। কিন্তু শীতকালে একাংশ মনে করেন, এই সময় ব্যায়াম করা ক্ষতিকর হতে পারে। আসলে এটি ভুল ধারণা।
শীত থেকে নিজেকে রক্ষায় অ্যালকোহল পান করলে উষ্ণ থাকে শরীর―এমনটা ভেবে থাকেন অনেকে। মূলত অ্যালকোহল পানে কিছুক্ষণ শরীর গরম থাকে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। শরীরকে গরম রাখার জন্য অ্যালকোহল পানের প্রয়োজন নেই।
শীতে অঞ্চল ভেদে কুয়াশা পড়ে। এ সময় শীতের জামা-কাপড়ে নিজেকে ভালোভাবে বেষ্টিত রাখতে হয়। কুয়াশা যেন মাথায় না পড়ে সেজন্য চাদর বা টুপিতে ঢেকে রাখতে পারেন মাথা। এতে সর্দি হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যালার্জি রয়েছে এমন মানুষ শীতে মনে করেন এই ঋতুতে কিছুটা সুবিধা পাবেন তারা। এই ধারণাও ভুল। শীত মৌসুমেও বাসার বাইরে বের হলে ধুলাবালি থেকে নিজেকে সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আবার বাসায় থাকলে দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ রাখতে হবে। যেন বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস ভেতরে প্রবেশ না করে।
শীতে স্বাভাবিকভাবে সর্দি-কাশি কম-বেশি সবারই হয়ে তাকে। এ কারণে কলা খাওয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন কেউ। অনেকের ধারণা কলা খেলে ঠান্ডা আরও বেড়ে যাবে। এতে সর্দি-কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে সময় আরও বেশি লাগবে। এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। বরং কলা খাওয়া উপকারী। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত এই ফল খাওয়ার ফলে পানির অভাব পূরণ হয় এবং শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বলা হয়েছে, কলা খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে কলা। এছাড়া মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে সহায়তা করে।
এছাড়া যারা জিম করেন, বিশেষ করে সন্ধ্যায় জিমের পর কলা খাওয়া ভালো অভ্যাস। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল খাওয়ার ফলে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে। সেই সঙ্গে পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে। তাই সন্ধ্যায় একটি বা দুটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য সহায়ক।