প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০৮:৪১ পিএম
ছুটির সময় দাওয়াত বেশি খাওয়া আর অনিয়মিত জীবনযাত্রার মাঝেও শরীর রাখা যায়।স্কুল, কলেজ বা অফিস থেকে ছুটি মানেই রুটিন জীবন থেকে ছুটি।অধিকাংশ মানুষেরই ছুটিতে খাওয়া, ঘুম এমকি ব্যায়ামের রুটিনে হেরফের দেখা দেয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ কষ্টকর হয়ে যায়।
তবে সাধারণ কিছু অভ্যাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে এলোপাতাড়ি ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।ইটদিসনটদ্যাট ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রুমবিল্ডার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যায়াম প্রশিক্ষক অ্যান্থনি জে. ইয়ুং বলেন, “ছুটির দিনগুলোতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ইত্যাদি মেনে চলা যায় না- নানান অনুষ্ঠান, ভ্রমণ বা অন্যান্য আয়োজনের কারণে। তাই, সম্পূর্ণ অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করার চেয়ে বরং কিছু অভ্যাসের প্রতি মনোযোগ রাখলে এই সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া যায়।”
আর্দ্র থাকা পর্যাপ্ত পানি পান শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া পানি পান ওজন কমানোর যাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ইয়ুংয়ের মতে, “স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে নিজেকে আর্দ্র রাখা সবচেয়ে সহজ উপায়। বিশেষ করে যদি ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়া হয়। পর্যাপ্ত পানি পানে প্রস্রাবের রং হালকা হলুদাভ থাকে।”
পানি পানের কথা মনে রাখতে আধুনিক পানির বোতল, মোবাইল অ্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রতিদিন গতিশীল থাকা
প্রতিদিন শরীরচর্চা করা স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে এর জন্য আলাদা সময় বের না করা যায়, তাহলে গতিশীল থাকা এমন কাজ বা ১০ মিনিট বাইরে হাঁটা যেতে পারে।
ইয়ুং- সাইকেল চালানো, কুকুরকে বাইরে হাঁটতে নিয়ে যাওয়া, দড়ি লাফ বা ঘরে নাচানাচি করার মতো কাজ বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এতে দেহ সচল ও সুস্থ থাকে।
বেশিরভাগ সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ইয়ুং চর্বিহীন মাংস, তাজা সবজি এবং দানাদার শস্যজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটা দেহে পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং সক্রিয় রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম
খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মতো ঘুমও শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য অত্যাবশ্যক।যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন’য়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক সাত থেকে নয় ঘন্টা একটানা ঘুমানো প্রয়োজন। বয়স ৬৫ বা তার বেশি বয়স্কদের জন্য সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম আবশ্যক।
মানসিক চাপ
ছুটিতে খুব বেশি খাওয়া দাওয়া বা মজাদার কোনো খাবারের প্রতি ঝোঁক সামলিয়ে ওঠা বেসামাল হয়। এতে অনুশোচনায় ভোগার কিছু নেই।ব্যাখ্যা করে ইয়ুং বলেন, “সুস্থতা একটা আজীবন সাধনার বিষয়। তাই অকারণে মানসিক চাপ না বাড়িয়ে বরং ছুটি শেষে আবার সাধারণ রুটিনে ফিরে আসলেই হবে।”