প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২২, ০৫:১৫ পিএম
শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা সার্জারির পরে ক্ষত দ্রুত শুকালে সংক্রমণ ও জটিলতার ঝুঁকি কমে আসে। ক্ষতস্থান দ্রুত শুকানোর বিষয়টি আমাদের জীবনযাপনের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এসময় অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে ও বেশি করে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এখানে ক্ষত নিরাময় দ্রুত করতে খাওয়া উচিত এমন খাবারের একটি তালিকা দেয়া হলো।
* ডিম: সার্জারির পর ক্ষত নিরাময়ের জন্য শরীরে দৈনিক সুপারিশকৃত পরিমাণের চেয়েও বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সাধারণত শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দৈনিক সুপারিশকৃত প্রোটিনের মাত্রা হলো ০.৮ গ্রাম। দ্য আমেরিকান সোসাইটি ফর এনহ্যান্সড রিকভারি সার্জারির পর প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১.৫-২ গ্রাম প্রোটিনের পরামর্শ দিয়েছে। তার মানে হলো- কোনো ব্যক্তির শরীরের ওজন ৬৮ কেজি হলে তাকে প্রতিদিন ১০৫-১৩৫ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে। একটি বড় ডিমে (৫০ গ্রাম) প্রায় ৬.৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিনের আরো কিছু ভালো উৎস হলো- মুরগির মাংস, মাছ, দুধ ও পনির।
* সমুদ্রের মাছ: গবেষকরা উচ্চ মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাট রয়েছে এমন সামুদ্রিক মাছ খেতে পরামর্শ দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে- ওমেগা ৩ ফ্যাটের সাপ্লিমেন্ট সেবনে ক্ষত নিরাময় দ্রুত হয়েছে। উচ্চ পরিমাণে সেলেনিয়াম রয়েছে এমন মাছও খেতে পারেন। সাপ্লিমেন্ট সেবনের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
* বেরি: সার্জারি পরবর্তী খাদ্যতালিকায় অবশ্যই যুক্ত করার মতো খাবার হলো বিভিন্ন ধরনের বেরি। ভিটামিন সি পুষ্টিতে ভরপুর বেরি ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আরো কিছু খাবার হলো- লেবু, কমলা, পেয়ারা ও মোসাম্বি।
* বাদাম ও বীজ: ক্ষত নিরাময়ে বাদাম ও বীজও অবদান রাখতে পারে, যেমন- আমন্ড বাদাম, আখরোট বাদাম ও সূর্যমুখী বীজ।
* মুরগির মাংস: গ্লুটামিন ও আরজিনিন হলো দুটি অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা মুরগির মাংসে পাওয়া যায়। অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো প্রোটিনের গাঠনিক উপাদান, যা ক্ষত নিরাময় ও রোগতন্ত্রের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
* গরুর কলিজা: কেবল উচ্চমানের প্রোটিন নয়, শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যোগাতেও সার্জারি পরবর্তী খাদ্যতালিকায় গরুর কলিজা রাখতে পারেন। ভিটামিন এ পুষ্টি গভীর ও ক্ষরণশীল ক্ষতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে। ভিটামিন এ এর আরো কিছু উৎস হলো- দুধ, পনির, সেদ্ধ ডিম, মিষ্টি আলু, পালংশাক ও গাজর।
* মিষ্টি আলু: ক্ষত নিরাময় দ্রুত করতে মিষ্টি আলুর মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারেরও প্রয়োজন আছে। কার্বোহাইড্রেটের অভাবে ক্ষত শুকাতে দেরী হয়।
* সবুজ শাক: পালংশাক, পাতাকপি ও সরিষা শাকের মতো সবুজ শাকে প্রচুর পুষ্টি থাকে- যা প্রদাহ কমায়, রোগতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ও ক্ষত নিরাময় দ্রুত করে। এসব খাবারের ভিটামিন কে রক্তক্ষরণ কমিয়ে ফেলে। ফলে ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়।