প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০২:১২ এএম
শুধু ভাজাপোড়া খাবার নয়, বিস্কুটও হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কিছু খাবার সবসময় খেলে ধমনী বা রক্তনালী আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
শরীরের সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহের জন্য ধমনী বা রক্তনালী ঠিক থাকা প্রয়োজন। আর এরজন্য চাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে অবস্থিত ‘ভ্যান্ডাবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার’য়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, খাবারের কারণে রক্তনালীতে ‘প্লাক’ জমে। যে কারণে আটকে যায় ধমনী।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই পরিস্থিতিকে বলে ‘অ্যাথোরোসক্লোরোসিস’। আর শরীরের যে কোনো অংশেই এটা হতে পারে। হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, ঘাড়, হাত, পা, কিডনি কিংবা নিতম্ব- দেহের বিভিন্ন অংশে রক্তনালী আটকে যাওয়ার প্রেক্ষিতে নামও ভিন্ন।
কানাডা’র ‘হলিস্টিক ওয়েলনেস স্ট্যাটেজিস’ এবং নিবন্ধিত চিকিৎসক, টমি মিচেল এই বিষয়ে বলেন, “অ্যাথোরোসক্লোরোসিস’ বিপৎজ্জনক। তবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেজন্য দরকার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।”
যতক্ষণ না বড় কোনো সমস্যা দেখা দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ধমনী বা রক্তনালী আটকে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় না। ফলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া, হৃদপিণ্ডে নানান সমস্যা ও স্ট্রোক হয়। পাশাপাশি ডেকে আনে মৃত্যু।
তাই ডা. মিচেল বেশ কয়েকটি খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
মাখন
সুস্বাদু এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেইটেড ফ্যাট আছে। ফলে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ না করলে কোলেস্টেরল বাড়ার পাশাপাশি রক্তনালীতে ‘প্লাক’ জমার ঝুঁকি বাড়ায়।
বিস্কুট
পৃথিবী জুড়েই নাস্তায় খাওয়া হয় এই খাবার। সহজলভ্য হওয়াতে যখন তখন মুখে পুড়ে চিবাতে বেশ লাগে চায়ের সঙ্গে। দেখতে ছোট হলেও বিস্কুটই হতে পারে রক্তনালী আটকে দেওয়ার কারণ।
কারণ এই খাবার তৈরিতে ব্যবহার হয় ঘি, তেল, ক্রিম, লবণ ও চিনি। সেগুলো স্যাচুরেইটেড ফ্যাট আর সোডিয়ামে পূর্ণ। আর দুই উপাদান যদি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তবে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে বহুগুনে।
তাই বেশি পরিমাণে নয়, অল্প স্বল্প বিস্কুট খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ ও পনির
পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন খাবার তৈরিতেও দুধ ব্যবহার হয়। তাই দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে।
সাধারণত প্রতিদিন দুবেলা দুধের তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয় স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। তবে বিকল্প হিসেবে সয়া বা কাঠ বাদামের দুধ বেশি স্বাস্থ্যকর।
পাশাপাশি বেছে নিতে হবে কম বা ননিহীন দুধ।
ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার
মুখরোচক রান্না ডুবন্ত তেলেভাজা খাবারের তুলনা হয় না। তবে এই ধরনের খাবার অস্বাস্থ্যকর গ্রিজ ও তেলে আবৃত থাকে, যা ধমনী আটকে দেওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ভাজা খাবারে থাকা চর্বি ও কোলেস্টেরল এত বেশি পরিমাণে থাকে যে, এর ফলে বাড়তে পারে রক্তচাপ। ফলে দেখা দেয় স্ট্রোক ও হৃদরোগ।
তাই যেসব খাবার ভেজে খাওয়া হয়, সেগুলো স্বাস্থ্যকর করার উপায় হল বেইকড বা গ্রিল্ড করা। পাশাপাশি এয়ার ফ্রাই কিংবা ওভেনে রোস্ট করাও হতে পারে আরেকটি পন্থা।
এই দুই উপায়ে খাবার তৈরিতে তেল এড়ানো যায়।