প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ০১:৩৫ এএম
এখনকার সময়ের অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। নিয়মিত শাকসবজি এবং ফল খাওয়া, ব্যায়াম করা, সময় মতো ঘুমানো এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এমন কিছু লাইফস্টাইল পরিবর্তন যা আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং চাপমুক্ত জীবনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে একটি ফল, যা অনেক উপকার দিতে পারে, সেই ফলটি হল খেজুর।
খেজুর খালি পেটে খাওয়া অনেকেরই সকালের রুটিন। আপনি খেজুরটি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন বা আপনি এটি কাঁচা খেতে পারেন। তবে প্রতিদিন এগুলি খাওয়া আপনার রুটিন হওয়া উচিত। কারণ এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
জেনে নিন প্রতিদিন ভেজানো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ইনস্টাগ্রামে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার এই পোস্ট শেয়ার করেছেন। সুস্থ থাকার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এটি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে সবার আগে জেনে নিন খেজুর সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের বলা কিছু বিষয়-
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা-
খেজুর শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় আমাদের অনেক উপকারও দেয়। চলুন জেনে নেই এই সুবিধাগুলো সম্পর্কে-
এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
নারী ও পুরুষ উভয়েরই যৌন শক্তি বাড়ায়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের প্রচার করে ।
ক্লান্তি (দুর্বলতা) উপশম করে।
রক্তশূন্যতার জন্য সেরা।
স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি প্রচার করে।
পাইলস প্রতিরোধ করে।
প্রদাহ প্রতিরোধ করে।
স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা সমর্থন করে।
আপনার ত্বক এবং চুলের জন্য সেরা ।
খাওয়ার সেরা সময়
সকালে খালি পেটে।
লাঞ্চ হিসাবে
যখনই মনে হয় খেজুর খাবেন।
ওজন বাড়ানোর জন্য ঘুমানোর সময় ঘি দিয়ে ।
ওজন বাড়ানোর জন্য কতটা নিতে হবে?
২ দিয়ে শুরু করা প্রত্যেকের জন্য যথেষ্ট। এরপর প্রতিদিন ৪ বার ভিজিয়ে খান।
আপনি যদি আপনার ওজন বাড়াতে চান, তাহলে আপনি প্রতিদিন ৪ টে করে খেতে পারেন। তবে আপনার হজমশক্তি ভালো হলে তবেই খাবেন ।
কেন খেজুর ভিজাতে হবে?
খেজুর ভিজিয়ে রাখলে এতে উপস্থিত ট্যানিন ও ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয় যা আমাদের জন্য সহজে এগুলি থেকে পুষ্টি শোষণ করা সহজ করে তোলে। ভেজানো এগুলিকে আরও ছোট করে হজম করা সহজ।
তাই আপনি যদি খেজুর খেয়ে সেগুলি থেকে পুষ্টিও শোষণ করতে চান তবে সেগুলি খাওয়ার আগে সারারাত ৮-১০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
শিশুদের জন্য খেজুর-
শিশুদের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেজুর সবচেয়ে ভালো। কম ওজন, কম হিমোগ্লোবিন, আয়রন এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতিদিন একটি করে মিষ্টি খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী। এটি ২-৩ মাস ধরে চলতে পারে। সর্বদা মনে রাখবেন যে খেজুরগুলি গরম নয় তবে অত্যন্ত ঠান্ডা এবং সমস্ত পিত্ত রোগের জন্য সেরা কাজ করে।
-20231215070103.jpg "চুমু খেলে ঠোঁট ফাটবে কম! শীত আসার আগেই জেনে নিন আদরের নয়া ট্রিক")
-20231209134359.jpg "পুরুষের যে ৫ ভুলে বিচ্ছেদের দিকে যেতে পারে দাম্পত্য সম্পর্ক")
-20231209055153.jpg "জানেন অন্ধ মানুষেরা কালো চশমা পরেন কেন?")
-20231208073350.jpg "থাইরয়েডের রোগীরা সুস্থ থাকার জন্য কী খাবেন")
-20231207135019.jpg "বলুন তো ডাবের মধ্যে জল কোথা থেকে আসে?")
-20231207133417.jpg "শীতের শুরুতে আচমকা বৃষ্টি, সুস্থ থাকতে করণীয়")
-20231206061738.jpg "মাথাব্যথা কোন রোগের লক্ষণ")