• ঢাকা সোমবার
    ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মানবদেহে চর্বি জমার কারণ ও প্রতিকার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৩:১৬ এএম

মানবদেহে চর্বি জমার কারণ ও প্রতিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মানুষের ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমার কারণ, শরীরে এই অতিরিক্ত চর্বির কারণে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। যার ফলে মানুষের কায়িক শ্রম সম্পাদনের যোগ্যতা হ্রাস পায়। কায়িক শ্রম হ্রাস পাওয়ার ফলে ব্যক্তি আরও বেশি মোটাসোটা হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে মানুষ এক ধরনের দুষ্টচক্রে পড়ে আরও বেশি মোটা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পতিত হয়।

শরীরে আলস্য এসে ভর করে ভরপেট খাওয়ার পরে। আর খাওয়ার পরেই যারা ভাত ঘুমে যান, তাদের পেটে চর্বি জমার প্রবণতা থাকে সব থেকে বেশি। যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন, তাদের পেটেও ধীরে ধীরে চর্বি জমে যায়। অতিরিক্ত চর্বি শুধু সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয় না, সেই সঙ্গে নানা রোগও ডেকে আনে।

শরীরে চর্বির পরিমাণ অতিরিক্ত থাকলে হাত, মুখ, পেট এবং উরু এই যায়গা গুলোতেই বেশি জমে। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার আগেই সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আর চর্বি যদি শরীরে ইতোমধ্যে জমেই যায়, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আর ব্যায়ামে সেটিকে অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। কোন কারণে শরীরে চর্বি জমছে, এই কারণটিকে চিহ্নিত করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

পেটে চর্বি জমার কারণ

* মাখন, পনির, ঘিয়ের মতো চর্বিযুক্ত খাবারে যারা অভ্যস্ত এবং যারা ফাস্টফুডের ভক্ত, তাদের পেটেও চর্বি জমে সহজেই।

* যারা খাওয়ার পরে দ্রুতই ঘুমিয়ে যান, তাদের খাবার পরিপাক হয় না ঠিকমতো। সঞ্চিত শক্তি খরচও হয় না। ফলে এটাও চর্বি জমার খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

* যারা শর্করাসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান, তাদের পেটে দ্রুত চর্বি জমে। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি, পরোটা, লুচি, মিষ্টি, কোমল পানীয় খাওয়ায় বিধিনিষেধ মানতে হবে।

* যাদের সারাদিনের কাজ চেয়ার-টেবিলেই এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না, তাদের পেটেও দ্রুত চর্বি জমে।

চর্বি কমাতে করণীয়

* একবারে বেশি না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করে খান। প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অল্প কিছু হলেও মুখে দিন।

* শর্করাজাতীয় খাবারে যদি পেট না ভরে, শাকসবজি খেয়ে ভরান। সঙ্গে খেতে পারেন যে কোনো টক ফল।

* খোসাসহ ফল বেশি করে খান। পেয়ারা, বরই, আমড়া, শসা এসবে তৃষ্ণা মেটাতে পারেন।

* একান্তই মাংস খেতে চাইলে চর্বির অংশ বাদ দিয়ে খেতে হবে। ঝোল কিংবা আলু একদমই বাদ থাকুক।

* পেটের চর্বি কমাতে খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি করতে হবে ব্যায়ামও।

* যে কোনো ধরনের তেলে ভাজা, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার একদমই বর্জন করতে হবে।

* পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। পানি শরীরের মেটাবলিজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে চর্বি জমতে বাধা দেবে।

* এ ছাড়া লিফট ব্যবহার না করে হেঁটে ওঠা, কিংবা ফ্লাইওভারের নিচ থেকে জোরে হেঁটে ওপরের দিকে ওঠার অভ্যাস গড়লেও চর্বি ঝরবে দ্রুত।

* নিয়মিত জিমে এলে এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করলে ফলাফলটা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। আর জিমে যাওয়া সম্ভব না হলে সাঁতার, সাইকেল চালানো, জোরে হাঁটা, দড়িলাফ এগুলো পেটের চর্বি ঝরানোর জন্য খুব ভালো ব্যায়াম হতে পারে। 

আর্কাইভ