• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

শিশুর খাবার তালিকায় কলার বিকল্প নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২, ১০:৪১ পিএম

শিশুর খাবার তালিকায় কলার বিকল্প নেই

সিটি নিউজ ডেস্ক

শিশুদের খাওয়ানো একটা বড় সমস্যা। হয় খাবে নয় ছুঁড়ে ফেলে দেবে। খাওয়াতে গিয়ে মায়েদের যথেষ্ট যুদ্ধ করতে হয়। তবে যাই হোক না কেনো খাওয়াতে হবে। এমন অবস্থায় শিশুর খাবার তালিকায় কলার বিকল্প নেই। এতে শিশু ফেলে ছেড়ে ততটুকুই খাবে ততটুকুই তার শরীরের জন্য ভালো। তাই, প্রতিদিন শিশুকে দু’-তিনটে কলা খাওয়ানো ভালো। এই ফলের পুষ্টিগুণ এনার্জিতে ভরপুর। শিশুর ভালো থাকার জন্য কলা অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এ বিষয়ে ভারতের শিশু ডায়েটিশিয়ান সোমালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, শিশুদের ডায়েট পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়া খুবই দরকার। না হলে শিশুর সঠিক বৃদ্ধি সম্পন্ন হয় না। এ জন্য শিশুর পুষ্টিকর ডায়েটের তালিকায় কলা রাখা প্রয়োজন। কারণ, কলা হলো শরীরের এনার্জির অন্যতম সোর্স। এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ও বায়োটিন। কলায় ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। কলায় গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ ইত্যাদি ন্যাচারাল সুগারের উপস্থিতি রয়েছে। যা শরীরের এনার্জি বাড়াতে সহায়তা করে। শিশুর শরীরে কলা সর্বাধিক পুষ্টি উপাদান দেয়।

কলা শিশুর শরীরে কী কী উপকারিতা আছে

১. সরাসরি এনার্জি- শিশুরা সারাদিন ছোটাছুটি করে, দুরন্তপনা করে। তাই ওদের এনার্জি দরকার প্রচুর। সেই ক্ষেত্রে  ক্লান্তি দূর করতে একটা কলা যথেষ্ট। তার সারাদিনের ক্লান্তি দ্রুত চাঙ্গা করে দিতে পারে। শিশুকেও সারাদিন চনমনে রাখতে সাহায্য করে। তাই, রোজ একটা করে পাকা কলা খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে খেলাধুলা করার পর একটা কলা খেতে দেওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এতে করে শিশু কখনোই ক্লান্তিবোধ করবে না।

২. হজমশক্তি ঠিক রাখে- কলার মধ্যে যে ফাইবার রয়েছে তা হজমশক্তি ঠিক রাখতে দারুণ কাজ করে। এতে ‘পেকটিন’ নামক ফাইবার রয়েছে। জলে দ্রবীভূত এই ফাইবার শরীরে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেটকে সিম্পল সুগারে পরিণত করে। রোজ একটা করে কলা খেলে শিশুর মলের সমস্যাও প্রতিহত হয়। কলা নিয়মিত খেলে শিশুর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা দূর হয়। এ ছাড়া শিশুর পেট ভরে থাকে অনেকক্ষণ।

৩. হাড় ও চোখের জন্য ভালো- কলাতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকে। এই পটাশিয়াম, সোডিয়ামকে লঘু করে দেয়। শিশুর ডায়েটে সোডিয়াম থাকতেই পারে। কলা খেলে তা নিউট্রালাইজ হয়ে যায়। শিশুর হাড় শক্ত হয়। কলা খেলে শিশুদের প্রসাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। কলা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ এবং হাড় শক্ত করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। কলাতে ভিটামিন এ উপস্থিত, যা চোখের জন্য ভালো। যে কোনো অসুখের হাত থেকে রেটিনা সুরক্ষিত রাখে।

৪. রক্তাল্পতা রোধ করে- যাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা ঠিকমতো উৎপাদন হয় না তারা রক্তা সল্পতায় ভোগে বেশি। শিশুর ডায়েটে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি ১২ ও কপার যথেষ্ট পরিমাণে থাকা দরকার। যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। কলা এই সব পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তাই হিমোগ্লোবিন তৈরির পাশাপাশি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়- শিশুর মস্তিষ্কের অন্যতম ফুয়েল কলায় উপস্থিত। কলাতে থাকা পটাসিয়াম ব্রেনে রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। সমীক্ষার তথ্য, কলা মনঃসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। কলার শেক  স্কুলে নিয়ে গেলে অথবা পড়াশোনা করার মাঝে শিশুরা খেতে পারে। এতে ক্লান্তি দূর হয়, পেট ভরা থাকে। স্কুলে যাওয়ার সময় শিশুদের কলার কেক বানিয়েও দেয়া যেতে পারে। কারণ, এটা শিশুরা খেতে পছন্দ করবে বেশি।

 

কিউ/এএল/এআরআই

আর্কাইভ