• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

শরীর চাঙ্গা রাখতে অ্যারোমাথেরাপি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ১২:১১ এএম

শরীর চাঙ্গা রাখতে অ্যারোমাথেরাপি

সিটি নিউজ ডেস্ক

শরীর চাঙ্গা রাখতে অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতিতে ভরসা রাখেন। তেমনই একটি পদ্ধতি হল অ্যারোমাথেরাপি। এই পদ্ধতিতে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিভিন্ন উদ্ভিদের নির্যাস এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের অপরিহার্য তেলও। এই তেল ব্যবহার করা হয় বলে একে কেউ কেউ ‘এসেনশিয়াল অয়েল থেরাপি’-ও বলেন। অ্যারোমাথেরাপির বহু ব্যবহারকারীর মতে, প্রাচীন আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেল হল এই পদ্ধতি। ভারতসহ চীন ও মিসরে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার উদাহরণ পাওয়া যায়। তবে এখনো প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে একে স্বীকার করেন না অনেকেই।

অ্যারোমাথেরাপি কীভাবে করা হয়?

অ্যারোমাথেরাপিতে গন্ধশোঁকা ও ত্বকের শোষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগানো হয়। কখনো বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ছড়ানোর যন্ত্র, ইনহেলারের মাধ্যমে নাকে বিশেষ গন্ধ দেয়া হয়। আবার কখনো স্নান করার সময় নুন, সাবান ও তেল ব্যবহার করে ত্বকে মাখানো হয় বিভিন্ন উপাদান। কখনো মালিশ করা বা ভাপ দেয়ার মতো পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় কাদামাটি দ্বারা তৈরি মুখোশও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কী কী উপকার?

যারা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করেন তারা বলেন, সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে অ্যারোমাথেরাপি কাজে লাগতে পারে। শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, এই পদ্ধতিতে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এবার দেখে নেয়া যাক এই অ্যারোমাথেরাপি দিয়ে কতটুকু সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

১। ব্যথা কমাতে পারে।

২। অনিদ্রার সমস্যা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।

৩। অ্যারোমাথেরাপির তেলে কমতে পারে অস্থিসন্ধির ব্যথা।

৪। মাইগ্রেন ও মাথা যন্ত্রণা কমাতে পারে সুগন্ধি।

৫। কেমোথেরাপির নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমতে পারে।

৬। প্রসব বেদনার সময়ে আরাম দিতে পারে।

৭। কমাতে পারে পৌষ্টিকতন্ত্রের সমস্যা।

৮। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

৯। হাঁপানি রোগীদের কষ্ট লাঘব করতে কাজে আসতে পারে ।

১০। লিঙ্গ শিথিলতার মতো সমস্যা কমাতে পারে অ্যারোমাথেরাপি।

অ্যারোমাথেরাপিকে এখনই মূল ধারার চিকিৎসা বলে না ধরে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করাই শ্রেয়।

তবে অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত গবেষণার অভাব আছে। তাই অ্যারোমাথেরাপিকে মূল ধারার চিকিৎসা বলা যায় না। বিশেষত, অসুস্থ রোগীর উপর এই ধরনের যে কোনো পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে, সরকারি শংসাপত্র প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া অত্যান্ত জরুরি। কেননা, কোনো রোগ দেখা দিলে যাবতীয় প্রচলিত পদ্ধতি একেবারে উপেক্ষা করে পুরোপুরি এই পদ্ধতি ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

 

একিউ/এএল/এআরআই

আর্কাইভ