প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ১১:২৩ এএম
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে কখনও গরম কখনও ঠাণ্ডা। আবার কখনও হঠাৎ বৃষ্টি। সর্দি-কাশিতে খারাপ অবস্থা শরীরের। তার ওপর মাথাব্যাথা, জ্বর তো আছেই। এই রকম উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ করে ওমিক্রনের এই সময়ে হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। আবার করোনা হতে পারে ভেবে আতঙ্কিত হওয়ারও দরকার নেই।
এখন জ্বর-কাশি হলেই অনেকে মনে করছেন—এই বুঝি করোনাভাইরাস। আসলে অন্যান্য ভাইরাসজনিত জ্বরের মতোই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে একই রকম উপসর্গ দেখা দেয়। করোনাভাইরাস মূলত ফুসফুসে আক্রমণ করে। সাধারণত জ্বরের সঙ্গে শুকনা কাশি দিয়ে শুরু হয়। জ্বর ও কাশির এক সপ্তাহের মাথায় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
এ ছাড়াও ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এই সময়ে যেকোনো রকম ঠাণ্ডা লাগা থেকে সুরক্ষিত থাকতে আগাম সতর্কতা নেয়া প্রয়োজন। তার জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন এই পাঁচটি খাবার।
রসুন
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল সমৃদ্ধ রসুন শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে উপশম পাওয়ার একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। কাঁচা রসুন খেতে পারেন অথবা রান্নাতে রসুনের পরিমাণ বেশি রাখতে পারেন। রসুন ঠাণ্ডা লাগা কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
ভিটামিন ডি ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে বা সর্দি-কাশি কমাতে দারুণ কাজ করে। ডিম, পনির, মাশরুম ইত্যাদি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রোজের খাদ্যতালিকায় রাখলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে সর্দি-কাশিকেও নিমেষে দূর করে।
প্রোবায়োটিক
যুক্ত খাবার
দই, আচার, কলা, ভুট্টা ইত্যাদি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার শুধু শীতকালে নয়, সব ঋতুতেই খাওয়া প্রয়োজন। সারা বছর ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে সুরক্ষিত থাকতে এই খাবারগুলি খেতে পারেন।
মধু
ও গরম জল
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সমৃদ্ধ মধু ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। গলা ব্যথা বা কাশি হলে গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
জিঙ্ক
সমৃদ্ধ খাবার
সামুদ্রিক
মাছ, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, বাদাম, ডিম, শিম ইত্যাদি হলো জিঙ্কের অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস।
শুধু ঠাণ্ডা লাগা উপশম বা প্রতিরোধে নয় সার্বিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ
খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
এএমকে