প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৯:৩৬ পিএম
অনেকে গোপন
শক্তি বাড়াতে চিকিৎসকের আশ্রয় নেন ও ভায়াগ্রা সেবন করেন! তারা হয়তো জানেন না যে,
ভায়াগ্রা
নয়- এক চামচ কালোজিরাই হতে পারে এই সমস্যার সমাধান।
কালোজিরা শুধু
ছোট ছোট কালো দানা নয়, এর মধ্যে রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি।
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধক। শুধু
এখানেই শেষ নয়, কালোজিরা চুলপড়া, মাথাব্যথা,
অনিদ্রা,
মাথা
ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা,
নিষ্ক্রিয়তা
ও অলসতা, আহারে অরুচি দূর করে এবং মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি
বাড়ায়। কারণ কালোজিরায় এ ক্ষমতা অপরিসীম বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে লাইফস্টাইল
বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই ডট কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে,
কালোজিরায়
রয়েছে-ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট
ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান। কালোজিরায় ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও
শক্তিশালী হরমোন, প্রস্রাবসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী
উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের
প্রতিষেধক।
আসুন জেনে নিই
কালোজিরায় আর কি কি উপকারিতা রয়েছে-
যৌন দুর্বলতা :
কালোজিরা চূর্ণ
ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু
একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামচ করে খান। এতে গোপনশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
মাথাব্যথা :
মাথাব্যথায়
কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তী স্থানে দৈনিক ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ
করুন। তিন দিন খালি পেটে চা চামচের এক চামচ করে তেল পান করুন, উপকার পাবেন।
চুলপড়া :
লেবু দিয়ে সব
মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুন। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে
মাথা মুছে ফেলুন। তার পর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে
কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।
কফ ও হাঁপানি :
বুকে ও পিঠে
কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ক্ষেত্রে হাঁপানিতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সঙ্গে
এটি মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।
স্মৃতিশক্তি
বাড়ে ও অ্যাজমায় উন্নতি ঘটে :
এক চামচ মধুতে
একটু কালোজিরা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। হালকা উষ্ণ পানিতে
কালোজিরা মিলিয়ে ৪৫ দিনের মতো খেলে অ্যাজমা সমস্যার উন্নতি ঘটে।
ডায়াবেটিস :
কালোজিরার চূর্ণ
ও ডালিমের খোসা চূর্ণ মিশ্রণ এবং কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
মেদ ও হৃদরোগ :
চায়ের সঙ্গে
নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়,
তেমনি
মেদ কমে যায়।
অ্যাসিডিটি ও
গ্যাস্ট্রিক :
এক কাপ দুধ ও এক
টেবিল চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক তিনবার ৫-৭ দিন সেবন করতে হবে। এতে গ্যাস্ট্রিক কমে
যাবে।
চোখে সমস্যা :
রাতে ঘুমানোর
আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে
এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।
উচ্চ রক্তচাপ :
যখনই গরম পানীয়
বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার
সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা, নিম
ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। এটি ২-৩ দিন পরপর করা যায়।
জ্বর :
সকাল-সন্ধ্যায়
লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কালোজিরা তেল পান করুন। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ
করুন।
স্ত্রীরোগ
:
প্রসব ও ভ্রূণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার খান।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি
:
অলিভ অয়েল ও
কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বাত :
পিঠে ও অন্যান্য
বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা
সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
দাঁত শক্ত করে :
দই ও কালোজিরার
মিশ্রণ প্রতিদিন দুবার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত
বন্ধ হবে।
ওজন কমায় :
যারা ওজন কমাতে
চান, তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি, মধু ও লেবুর
রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে
দিন। পান করে দারুণ উপকার পাবেন।
এস/ডাকুয়া