প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১, ১১:১৫ এএম
আপনি কি ওজন
বাড়াতে চান? আরও স্বাস্থ্যবান
ও মোটা হতে চান?
দেহের কাঠামো বেশ মোটা ও
শক্তিশালী করতে চান এবং
ফিটনেস উপযুক্ত রাখতে চান? তাহলে জেনে
নিন যেসব খাবার খেলে
ওজন বাড়ে-
কিশমিশ
: ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী
খাবার হচ্ছে কিশমিশ। অর্থাৎ কিশমিশে রয়েছে এমন সব উপাদান,
যার ফলে শরীরে যথেষ্ট
শক্তি যোগাতে ও দেহের ওজন
বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। কিশমিশ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে
তার মধ্যে ওজন বাড়ানোর কাজটি
অন্যতম। প্রতিদিন রাতে একটি গ্লাসে
পানি নিয়ে সেখানে ২৫-৩০টি কিশমিশ ভিজিয়ে
রাখুন সকাল পর্যন্ত। সকালে
ঘুম থেকে উঠে দেখবেন
এই কিশমিশগুলো অনেক বড় বড়
হয়ে আছে, তারপর খালি
পেটে কিশমিশগুলো খেয়ে ফেলবেন। ভিজানো
পানিও খেতে পারেন। এ
রকম ১-২ মাস
করে দেখবেন আপনার শরীরের ওজন অনেক বেড়ে
গেছে এবং আগের চেয়ে
শরীর অনেক শক্তিশালী, সুন্দর
ও স্বাস্থ্যবান মনে হবে।
খিচুড়ি
: ওজন বাড়ানোর জন্য প্রথম শর্ত
হচ্ছে, আপনাকে নিয়মিত খেতে হবে। সকাল,
দুপর, বিকেল ও রাতে নিয়মিত
বিভিন্ন ধরনের খাবার বিশেষ করে যে খাবারের
তালিকা দেওয়া হয়েছে এগুলো খেতে হবে। মোটা
বা দেহের ওজন বাড়ানোর জন্য
সকালে খিচুড়ি দিয়ে শুরু করতে
পারেন। ডিম খেলেও ওজন
বাড়ে। তবে প্রতিদিন নিয়মিত
ভালো এক প্লেট খিচুড়ি
খেতে পারলে। তাই আপনি যদি
ওজন ভালোভাবে বৃদ্ধি করতে চান, তাহল
নিয়মিত সকালে ব্রেকফাস্টের সময় খিচুড়ি খাওয়ার
চেষ্টা করতে হবে।
সেদ্ধ
আলু : যেসব খাবারে ওজন
বাড়ে তার মধ্যে অন্যতম
হচ্ছে সেদ্ধ আলু। আলু আমাদের
অনেকেরই প্রিয় একটা খাবার। আলু
একটি সুষম ও পুষ্টিকর
খাবার। এটি এমন একটা
সবজি, যেটি অনেক ভাবে
খাওয়া যায়। এতে এক
দিকে যেমন ভাতের মতো
শর্করা আছে তেমনি সবজির
মতো ফাইবার বা তন্তু, খনিজ
লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম আলুতে
শর্করা আছে ১৯ গ্রাম,
খাবার আঁশ ২.২
গ্রাম, উদ্ভিদ প্রোটিন ২ গ্রাম, খনিজ
লবণ ০.৫২ গ্রাম
যার মধ্যে পটাশিয়াম লবণই ০.৪২
গ্রাম, এবং ভিটামিন ০.০২ গ্রাম। এ
ছাড়াও আরও অনেক উপাদান
রয়েছে। যদি প্রতিদিন সকালে
সেদ্ধ আলু ২-৩টা
খান অথবা আলুর ভর্তা
খান, তাহলে এটি ওজন যথেষ্ট
সাহায্য করবে।
বিরিয়ানি
: হ্যাঁ, ওজন বাড়ানোর জন্য
নিয়মিত বিরিয়ানি খেতে পারেন। যদিও
বিরিয়ানি খাওয়াটা একটু খরচ সাপেক্ষ,
তারপরে ও এটি অনেক
কার্যকরী ভূমিকা রাখে শরীরের ওজন
বাড়াতে। আপনি ইচ্ছা করলে
প্রতিদিন দুপরে অথবা বিকেলে ১
প্লেট করে বিরিয়ানি খেতে
পারেন। এটি ওজন বাড়াতে
অনেকখানি সহায়তা করে। কারণ এটিতে
রয়েছে অনেক দরকারি উপাদান,
যা শরীর আরও স্বাস্থ্যবান
ও ওজন বাড়াতে বিশেষ
ভূমিকা রাখে। তাই নিয়মিত না
পারলে ২ দিন পর
পর ভালোমানের বিরিয়ানি খাওয়ার চেষ্টা করুন ১-২
মাস পর আপনি নিজেই
বুঝতে পারবেন কিভানে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গরুর
মাংস : ওজন বাড়াতে সবচেয়ে
বেশি অবদান রাখে গরুর মাংস।
গরুর গোশত প্রোটিনের সম্পূর্ণ
উৎস (অর্থাৎ ২০টি অ্যামিনো এসিডই
এতে পাওয়া যায়) এবং মানুষের বহু
প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজ লবণ
এতে বিদ্যমান। ফলে দেহ আরও
স্বাস্থ্যবান ও ওজন বাড়াতে
বিশেষ সহায়তা করে থাকে। আমরা
অনেকেই মোটামুটি ধারণা করে থাকি যে
গরুর মাংস একটি ক্ষতিকর
খাবার যা এড়িয়ে চলা
উচিত। আসলে এড়িয়ে চলা
উচিত নয়। তবে কম
মাত্রায় খাওয়া প্রয়োজন। দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার
নিরাপদ মাত্রা হলো, ৩ আউন্স
বা ৮৫ গ্রাম। অর্থাৎ
আমরা যা স্বাভাবিক টুকরো
দেখি, এ রকম ২-৩টা খাওয়া যেতে
পারে।
চিকেন
ফ্রাই : চিকেন ফ্রাই হচ্ছে আরেকটি অসাধারণ, জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর খাবার।
চিকেন ফ্রাইতে প্রচুর ফ্যাট রয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে ১টা করে চিকেন
ফ্রাই খেলে, অনেক সুবিধা পাওয়া
যায়। শরীর মোটা, ওজন
বাড়াতে ও সুন্দর দেহ
গঠন করতে এর ভূমিকা
অনন্য। চিকেন ফ্রাই একটি ফাস্টফুড খাবার।
তারিক/এম. জামান