• ঢাকা শনিবার
    ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

হাতের নাগালে রাখুন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১, ০৯:০৯ এএম

হাতের নাগালে রাখুন

সিটি নিউজ ডেস্ক

একসময় জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশিসহ যেকোনো দুর্ঘটনাকবলিত ব্যক্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত জিনিসপত্রকেই প্রাথমিক চিকিৎসা বোঝাত। সময়ের ব্যবধানে প্রাথমিক চিকিৎসার ধরনও পাল্টেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জমাদি হাতের নাগালে রাখা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

করোনায় আক্রান্ত শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য পালস অক্সিমিটার ঘরে রাখা জরুরি। ঘরে বসে অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করা গেলে অনেক ক্ষেত্রেই তা রোগীর জন্য ভালো। প্রাথমিক চিকিৎসার সঞ্জমাদির কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।

থার্মোমিটার : জ্বর পরিমাপের জন্য ঘরে অন্তত একটি থার্মোমিটার থাকা চাই। অনেক সময় জ্বর মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা সঠিক নির্ণয় করা না গেলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ জন্য জ্বর সঠিক পরিমাপ করতে পারলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থার্মোমিটার পাওয়া যায়।

অক্সিমিটার : শ্বাসকষ্ট রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস যেকোনো সময় বেড়ে যেতে পারে। এতে রোগীর অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। অক্সিজেনের মাত্রা নির্ধারিত মাত্রার নিচে নেমে গেলে রোগীকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসকষ্ট একটি জটিল সমস্যা। এ সময় ঘরে অক্সিমিটার থাকলে সহজেই লেভেল জেনে নেওয়া যায়। অক্সিমিটারের দাম পড়বে ৩৫০- ১৮০০ টাকার মধ্যে।

মাস্ক : বর্তমানে মাস্ক পরিধান অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আগে মাস্ক ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য ব্যবহার হলেও করোনাভাইরাসের আক্রান্ত থেকে নিরাপদ থাকতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহারে একদিকে যেমন নিজে সুরক্ষিত থাকা যায় অন্যদিকে অন্যকেও নিরাপদ রাখা যায়।

বিপি মেশিন : ব্লাড প্রেসার যাদের বেশি তাদের জন্য ঘরেই এ যন্ত্রটি রাখা নিরাপদ। এসব রোগীদের হঠাৎ করেই ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে। এজন্য ওই সময়ে ছোটাছুটি না করে ঘরে বসে রক্তের প্রেসার মেপে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের বিপি মেশিন পাওয়া যায়। দাম পড়বে ৬৫০ থেকে ৩২০০ টাকা।

অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম : কাটা-ছেঁড়ার ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধার আগে তা পরিষ্কার করা জরুরি। তাই প্রথম কাজ হবে ক্ষতস্থানে ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’ বা জীবাণুনাশক ক্রিম দিয়ে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা। এতে ক্রিম প্রয়োগ করলে ক্ষতস্থানে পুঁজ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

ব্যান্ডেজ ও তুলা : ক্ষতস্থান খোলা রাখা নিরাপদ নয়। ক্ষতস্থান খোলা থাকলে সহজেই জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ বা তুলা দিয়ে মুড়িয়ে দিলে অনেকটাই নিরাপদ থাকে। ৫ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায় ব্যান্ডেজ।

হেক্সিসল : বর্তমানে করোনাভাইরাসের জীবাণুর শঙ্কা থাকায় ঘরে কিংবা সঙ্গে থাকা চাই জীবাণুনাশক লিকুইড যা বাজারে হেক্সিসল নামে পরিচিত। ঘর থেকে বের হলে কিংবা বাইরে থেকে ঘরে প্রবেশের আগে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এতে নিরাপদ থাকা সম্ভব। হেক্সিসল ৩৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যাবে।

ব্যথানাশক ওষুধ : মৃদুমাত্রার ব্যথা হলে তা উপশমের জন্য ঘরে রাখতে পারেন ব্যথানাশকজাতীয় ওষুধ। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ পাওয়া যায়। তবে কম মাত্রার ও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন তা সেবনে ঝুঁকি রয়েছে।

মনে রাখতে হবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধ ও যন্ত্রপাতি কেবল বাক্সে রাখলেই চলবে না। তা ব্যবহারের পাশপাশি যত্ন নিতে হবে। দীর্ঘদিন ঘরে ফেলে রাখলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে বাক্সের কোনো ওষুধের মেয়াদ আছে কিনা। পরিবারের সবাইকে এসব সরঞ্জামের ব্যবহার শেখাতে হবে।

পাওয়া যাবে : প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জমাদি সারা দেশে বড় বড় ফার্মেসিগুলোতে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকার মিটফোর্ড, শ্যামলী ও আগারগাঁও এলাকায় সুলভমূল্যে পাওয়া যাবে।

তারিক/এএমকে
আর্কাইভ