আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শুক্রাণু-ডিম্বাণু কোনোটিই নেই। নিষেকও হয়নি। তারপরও জন্ম নিয়েছে মানবভ্রূণ। এই প্রথম গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে মানবভ্রূণের আদিদশা তৈরি করা হয়েছে।
যে কোষ মায়ের গর্ভে বেড়ে মানবশিশুর চেহারা নেবে, তারই প্রাথমিক রূপটা তৈরি করে ফেলেছেন গবেষকরা। সোজা কথায় বলতে গেলে, কৃত্রিমভাবে মানুষ তৈরির প্রক্রিয়ার প্রথম সিঁড়িতে পা দিলেন গবেষকরা।
অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা, মানবভ্রূণ তৈরির কোষ কৃত্রিমভাবে বানিয়ে ফেলেছেন। বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন কৃত্রিম ‘এমব্রায়ো’ বা ভ্রূণ ‘ব্লাস্টয়েড’। এই ব্লাস্টয়েড থেকেই মানব শরীর, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হবে। বিজ্ঞানীরা প্রথমত, মানুষের ত্বকের কোষ নিয়ে তার মধ্যে জিনের গঠনবিন্যাস নতুন করে সাজিয়েছেন।
জেনেটিক্যালি রি-প্রোগ্রাম করে সেই কোষকে ভ্রূণের প্রাথমিক চেহারা দেওয়া হয়েছে। ভ্রূণ ঠিক যেমন আকৃতির সেই গোলাকার রূপ দিয়েছেন গবেষকরা। আর এই কোষ দেখতে হয়েছে অবিকল মানুষের ভ্রূণের কোষ ব্লাস্টোসিস্টের মতো।
দ্বিতীয় গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্টেম কোষ নিয়ে একইরকম গবেষণা করে ব্লাস্টোসিস্ট তৈরি করেছেন। স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ভ্রূণ তৈরির আদিদশাকে বলে ব্লাস্টোসিস্ট। শুক্রাণু-ডিম্বাণুর মিলন হওয়ার পাঁচ দিন পরে যে কোষ প্রাথমিকভাবে তৈরি হয় তাকেই ব্লাস্টোসিস্ট বলে।
১৬টি কোষ নিয়ে গোলাকার বলের মতো গঠন তৈরি হয় প্রথম পর্যায়ে। যার পরিধি ছিল ০.১-০.২ মিলিমিটার। ধীরে ধীরে এই গোলাকার বলটা বড় হতে থাকে। ২০০-৩০০ কোষ থাকে। এই কোষগুলির আবার বিভাজন শুরু হয়। এরপর ব্লাস্টোসিস্ট জরায়ুর মধ্যে ইমপ্ল্যান্ট হয় এবং ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণের চেহারা নিতে থাকে।
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এই ব্লাস্টোসিস্টই তৈরি করে ফেলেছেন। সূত্র : ন্যাচার।
এসএএস/এম. জামান
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন