• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

করোনা কেড়ে নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শিশুর মা-বাবা

প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২১, ১০:৪০ এএম

করোনা কেড়ে নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শিশুর মা-বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মহামারি করোনার তাণ্ডবে এখনো টালমাটাল বিশ্ব। দিন দিন যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এই ভাইরাসটির রূপ। এর লাগাম টেনে ধরতে মরিয়া বিশ্ব মোড়লরা। টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি শঙ্কা। এরই মধ্যে ভাইরাসটির নতুন ধরন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যু। আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৮ জনে। তার মধ্যে ১০ লাখের বেশি শিশু হারিয়েছে মা-বাবাকে। সেই সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনদেরকে হারিয়েছে ১৫ লাখ শিশু।  

স্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সিএনএনের ওই খবর থেকে জানা যায়, গবেষণায় যৌথভাবে অংশ নেন সিডিসি, ইউএসএইড, বিশ্বব্যাংক ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন।

গবেষণা থেকে জানা গেছে, বিশ্বে করোনায় মৃত মোট মানুষের মধ্যে ৭৬ শতাংশের বেশি মারা গেছেন ২১টি দেশে। গবেষকেরা এ দেশগুলোতে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করেছেন। তারা এইডস ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কারণে এসব দেশে এতিম হওয়া শিশুদের একটি তালিকা করেছেন।

সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) গবেষক সুসান হিলিস বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রতি দুজনের মধ্যে একজন কোনো শিশুর মা-বাবা কিংবা তাদের লালনপালনকারী।

এ ছাড়া গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার শিশু তাদের মা-বাবা কিংবা দাদা-দাদিকে হারিয়েছেন। অন্যদিকে ১৫ লাখ ৬২ হাজার অভিভাবকের মৃত্যু হয়েছে। যারা কিনা শিশুদের দেখাশোনা করত।

এতে করে ওই সকল শিশুরাও ভাইরাসের সংক্রমণ, নিপীড়নের শিকার কিংবা দারিদ্র্যের শিকার হওয়ার আশঙ্কার মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।  

সিডিসির সুসান হিলিস আরও বলেন, এ শিশুরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। হয়তো আজীবন তাদের এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

টিআর/এএমকে

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ