প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২১, ০৭:৪৪ পিএম
বহু দেশেই বহুলভাবে
ব্যবহৃত হচ্ছে চীনে উদ্ভাবিত সিনোফার্মের
টিকা। তবে এই টিকা
বয়স্কদের স্বল্পমাত্রায় সুরক্ষা দিতে পারে বলে
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে
এসেছে। সেজন্য নতুন করে এই
টিকা ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সিনোফার্মের
টিকা নিয়ে গবেষণাটি করা
হয় হাঙ্গেরিতে। ওই গবেষণার জন্য
৪৫০ জনের রক্তের নমুনা
নেয়া হয়। নমুনা নেয়া
সবাই সিনোফার্মের টিকা নেয়া। দ্বিতীয়
ডোজ টিকা নেয়ার সপ্তাহ
দুয়েক পর তাদের নমুনাগুলো
নেয়া হয়। পরে রক্তের
নমুনাগুলোতে অ্যান্টিবডির পরিমাণ দেখা হয়।
নমুনাগুলো
পরীক্ষা করে দেখা যায়,
৫০ বছরের নিচের ব্যক্তিদের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত
অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। কিন্তু
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কমতে থাকে। এমনকি
৮০-এর অধিক বয়স্ক
ব্যক্তিদের নমুনায় কোনো অ্যান্টিবডি সৃষ্টি
হয়নি।
চলতি
সপ্তাহে দুই হাঙ্গেরিয়ান গবেষক
অনলাইনে গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন। তবে এ নিয়ে
এখনও কোনো মন্তব্য করেননি
অন্য গবেষকেরা। বেইজিংয়ের তিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন,
সিনোফর্মের বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট
দ্বারা নির্মিত ভ্যাকসিনের অধ্যয়নের পদ্ধতি নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
হংকং
ইউনিভার্সিটির ভাইরোলজিস্ট জিন ডং-ইয়ান
বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক
বিষয় যে উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত
এই লোকগুলোর শরীরে অ্যান্টিবডি খুব কম রয়েছে।’
পেকিং
ইউনিয়ন মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ও ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ
ওয়াং চেঙ্গুয়াং বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে সিনোফার্মের টিকার প্রভাব বিশ্লেষণ নিয়ে জনসম্মুখে প্রকাশিত
প্রথম রিপোর্ট। এই গবেষণার মূল্য
রয়েছে।
নতুন
এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে এখনও কোনো
মন্তব্য করেনি চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। তারা বলেছে, আমরা
শুধু সরকার বা বড় গবেষণা
সংস্থাগুলোর গবেষণার প্রতিক্রিয়া জানাব।’
সিনোফার্মের
টিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা
এবারই প্রথম নয়। তবুও বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সবুজ সংকেতের পর
থেকে প্রায় ৫০টি দেশে চীনের
উদ্ভাবিত এই টিকা ব্যবহার
করা হয়েছে।
এই
গবেষণার ফলাফলের পর ডব্লিউএইচওর এক
মুখপাত্র বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা গবেষণার বিষয়ে সচেতন এবং উপলব্ধ সকল
প্রমাণের দিকে নজর রাখছেন।
হাঙ্গেরিয়ান এজেন্সিটির পরামর্শদাতারা অনেক আগেই বয়স্কদের
টিকার প্রভাব নিয়ে এ প্রশ্নটি
উত্থাপন করেছিলেন।’
মামুন/এম. জামান