প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম
প্রধান উপদষ্টোর প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে ৬১ জন সাংবাদিক মারা গেছেন। প্রত্যেক সাংবাদিক হত্যার জন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এর পেছনে যদি কোনো সাংবাদিকের দায় থাকে, তাদেরও বিচার করা হবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফ্রি প্রেস ইনিশিয়েটিভ` শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসিনার মতো লোক তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা ছিল মন্তব্য করে প্রেস সচিব বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ হাসিনার বহু অপকর্মকে সাপোর্ট দিয়েছেন সাংবাদিকরা, যার ফলে গুম জননীতে পরিণত হয়েছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, সাংবাদিকদের কম বেতন দেওয়া হয়, এখানে ইউনিয়ন নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন। মালিকরা সাংবাদিকদের আগ্রহকে কাজে লাগান। অথচ বেতন-ভাতার প্রশ্নে গার্মেন্টস কর্মীসহ ৪০ লাখ স্বল্প শিক্ষিত শ্রমিক একস্বরে কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে যদি ১০ হাজার সাংবাদিক থাকে, সবাইকে এক হতে হবে। সবখানে দাবি তুলতে হবে, সাংবাদিকদের বেতন দিতে হবে। বেসিক পেমেন্ট ঠিক করতে হবে, এটি সব পেশাতেই আছে। এখনই উপযুক্ত সময়, রাজনৈতিক দল এলে তাদের পক্ষে একটা গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে যায়।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক মারা যাওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদেরও দায় আছে উলে্লখ করে শফিকুল আলম বলেন, তারা সাংবাদিকের নূ্যনতম সুরক্ষা সামগ্রীও সরবরাহ করে না। আন্দোলনের সময় নিহত সাংবাদিক হাসান মেহেদিকে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। ভেস্ট (সুরক্ষা সামগ্রী) থাকলে মৃতু্য এড়ানো যেত। যে প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষাসামগ্রী কেনার ক্ষমতা নেই, তাদের (প্রতিষ্ঠানের) সাংবাদিকতায় আসার দরকার নেই। সেফটি না থাকার কারণেই অনেকে নিহত হয়েছেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, যে কোনো জায়গাতেই হোক, বেসিক মানসম্মত একটা বেতন দিতে হবে। বেতন না দিয়ে কার্ড ধরিয়ে দেওয়া গণমাধ্যম মালিকদেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামীতে সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবেই বাংলাদেশে সাংবাদিকতা হবে। নতুন কোনো ফ্যাসিস্ট যেন আর তৈরি না হয়, সেজন্য কাজ করতে হবে সবাইকে।