
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
ইসরাইলকে সন্ত্রাসবাদ এবং গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, গাজা সহিংসতা গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টালিয়া ডিপ্লোম্যাসি ফোরামে বক্তব্যকালে এ কথা বলেন। খবর সাফাক নিউজের।
এরদোগান দাবি করেন, গাজায় এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন—যাদের মধ্যে নারী, শিশু ও সাংবাদিকও রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা যদি বর্বরতা না হয়, তাহলে বর্বরতা কাকে বলে? ইসরাইল একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় হামলার বিরুদ্ধে নীরবতা মানে এই অপরাধে অংশীদার হওয়া।
আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবেই তিনি ইসরাইলের আচরণকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদসহ বিশ্বের শক্তিধরদের এ সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
তুরস্কের অবস্থান স্পষ্ট করে এরদোগান বলেন, তার দেশ ১৯৬৭ সালের সীমান্তভিত্তিক দ্বী-রাষ্ট্র নীতিকে সমর্থন করে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখতে চায়। এই অবস্থানের অংশ হিসেবে তুরস্ক ইসরাইলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার করা গোষ্ঠী-নিধনের মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে।
সিরিয়া প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, ইসরাইল সেখানে সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত বিভাজন উসকে দিয়ে ‘৮ ডিসেম্বর বিপ্লব’-এর (যার মাধ্যমে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে হটানো হয়েছিল) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে তারা সিরিয়ার সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করছে ইসরাইল।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ইসরাইলের চলমান হামলা—বিশেষ করে সিরিয়া ও লেবাননে—এলাকাটিকে অস্থির করে তুলছে এবং আইএসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। ইসরাইল এখন এমন একটি সমস্যা হয়ে উঠেছে যা সরাসরি গোটা অঞ্চলকে হুমকি দিচ্ছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা সিরিয়ান জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের এই অন্যায়ের মূল্য দিতে হবে।
তুরস্কের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, সিরিয়ার নিরাপত্তা মানে তুরস্কের নিরাপত্তা।
শেষে এরদোগান বলেন, তুরস্ক শুধু একটি আঞ্চলিক শক্তি নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্য একটি দায়িত্বশীল অংশীদার।