
প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম
চীন যদি পাল্টা শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে দেশটির ওপর আরও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই হুঁশিয়ারিকে ভুলের ওপর ভুল- বলে অভিহিত করেছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘ব্ল্যাকমেইলিং আচরণ’ তারা কখনোই মেনে নেবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে।
আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকিকে ‘ভুলের ওপর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চীন তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে বলেছে, শুল্ক আরোপের এই পরিকল্পনা প্রত্যাহার করা হোক এবং দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার মত পার্থক্যের সমাধান করা হোক।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প চীনকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় দেন তাদের পাল্টা শুল্ক তুলে নেওয়ার জন্য। অন্যথায় ৫০ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেন, যেটিকে তিনি তার ‘লিবারেশন ডে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। ওই দিন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ কর আরোপের কথাও জানান। জবাবে রোববার পাল্টা ব্যবস্থা নেয় বেইজিং।
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ওয়াশিংটনের ‘দাদাগিরি’ ফলানোর অভিযোগ এনে বলছে, বেইজিং তাদের ‘ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে’।
যদি ট্রাম্প তার হুঁশিয়ারি কার্যকর করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে চীনা পণ্যের ওপর মোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক দিতে হতে পারে— কারণ এটি মার্চে আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক এবং গত সপ্তাহে ঘোষিত ৩৪ শতাংশ শুল্কের ওপর অতিরিক্তভাবে বসানো হবে।
বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে এ পদক্ষেপ বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও গভীর করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।