প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০৭:২৫ পিএম
আজান শোনার সঙ্গে
সঙ্গে সৌদি আরবে বাণিজ্যিক
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের রীতি রয়েছে। এ
সময় পেট্রল পাম্প, ফার্মেসি, রেস্টুরেন্ট ও সুপার মার্কেটের
সেবা নিতে ভোক্তাদের অপেক্ষা
করতে হতো। ভোক্তাদের ‘অসুবিধা’ বিবেচনা
করে সেই রীতি উঠে
যাচ্ছে।
শুক্রবার
(১৬ জুলাই) সৌদি চেম্বার্স এক
বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নামাজের সময় দোকান খোলা
রাখার অনুমতি দিয়েছেন দেশটির শাসকেরা। চেম্বার্সের সভাপতি আজলান বিন আবদুল আজিজ
আল-আজলান জানান, ভোক্তাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ও পরিষেবার মান
বাড়াতে এ উদ্যোগ নেয়া
হয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য
করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ক
লেখক ও ভাষ্যকার আলী
সামির শিহাবি। টুইটারে তিনি বলেন, ‘দৈনন্দিন
জীবনে ধর্মীয় আধিপত্য অবসানের বড় ধরনের প্রতীকী
ও রাজনীতিক পদক্ষেপ এটি।’
তার
মতে, নামাজের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধের
বিষয়টি ছিল কাজ থেকে
দীর্ঘ বিরতির অজুহাত। যার কারণে পণ্য
ও সেবার জন্য ভোক্তাদের দীর্ঘক্ষণ
অপেক্ষা করতে হতো। এমনকি
এ কারণে সরকারি দফতরগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
তবে
অর্থনীতিবিদ হাবিবুল্লাহ আল-তুর্কিস্তানির মতে,
এর ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে
বড় কোনো প্রভাব পড়বে
না। কর্মচারীরা মধ্যবর্তী বিরতি নেয়। এখন নামাজের
সময় দোকান খোলা থাকলেও কর্মচারীরা
বিরতি নেবে। এটা তাদের অধিকার।
তিনি
আরও বলেন, ‘যারা অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য
বিক্রি করেন, বিশেষ করে মহাসড়কে যেসব
দোকানের অবস্থান, তারা এ সিদ্ধান্তে
লাভবান হবেন। কিন্তু ধর্মীয় কাজে কর্মচারীদের বাধা
দেয়া যাবে না।’
নামাজের
সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা নিয়ে
অনেক দিন ধরে সৌদি
আরবে বিতর্ক চলছিল। এত দিন প্রার্থনার
সময় প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে ধর্মীয়
পুলিশেরা শাস্তি দিতে পারতেন।
শামীম/এম. জামান