প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০৪:২৯ পিএম
জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিবাদীদের
আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রোল মডেল হানাদি
হালাওয়ানি। ইসরায়েলি বাহিনী ৬০ বারেরও বেশি
গ্রেফতার করেও তাকে দমাতে
পারেনি। কয়েক সপ্তাহ আগেও
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন
ফিলিস্তিনের সাহসী এই নারী।
কট্টরপন্থী
ও বর্ণবাদী উগ্রবাদী ইহুদিদের হাত থেকে পবিত্র
আল-আকসাকে রক্ষার জন্য ফিলিস্তিনি নারীদের
নিয়ে গঠিত সংগঠন 'মুরাবিতাত'-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন
এ অদম্য সাহসী নারী। দখলদার ইসরায়েলের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক
এই বীর ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি
পুলিশের তালিকায় সবচেয়ে ভয়ংকর ফিলিস্তিনি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হানাদি
হালাওয়ানিকে।
বারবার
গ্রেফতার ও নির্যাতন করেও
ইসরায়েল তাকে দমাতে পারেনি।
প্রতিবারই জেল থেকে ছাড়া
পেয়ে আল-আকসার জন্য
আবারও আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি। ইসরায়েল সরকার তাকে জেরুজালেমের আল-আকসায় নিষিদ্ধ করেছে। তার সঙ্গে আরেক
অদম্য ফিলিস্তিনি নারী খাদিজা খুইজও
আল-আকসাকে মুক্ত করার আন্দোলনে গিয়ে
২৮ বার গ্রেফতার হয়েছেন
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে।
আটকের
পর এসব মুরাবিতাতের সদস্যদের
ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের সেনারা যখন-তখন জুতা
পরে এবং অস্ত্র নিয়ে
পবিত্র আল-আকসায় প্রবেশ
করায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ফিলিস্তিনি
এসব নারীরা। পুরুষদের পাশাপাশি তারাও কঠোর আন্দোলনে শরিক
হন।
ইসরায়েলি
দখলদারিত্বের বিরুদ্ধেও সোচ্চার এসব নারী আন্দোলনকারীরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর গ্রেফতার ও নির্যাতন উপেক্ষা
করেই বছরের পর বছর ধরে
দেশ মাতৃকা ও পবিত্র আল-আকসার জন্য লড়ে যাচ্ছেন
বীর এসব ফিলিস্তিনি নারীরা।
শামীম/এএমকে