• ঢাকা রবিবার
    ০৯ মার্চ, ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৫, ১১:৫৯ এএম

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় গুরুত্ব পেল যেসব বিষয়

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় ছাড়াও বাংলাদেশ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুও উঠে আসে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ও ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছেন, তারা ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া ও কমনওয়েলথ সম্পর্কিত বিষয়েও মতবিনিময় করেছেন।

তবে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে জয়শঙ্কর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া পোস্টে জয়শঙ্কর বলেন,‍‍`আমরা ইউক্রেন ইস্যু, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। অস্থির ও অনিশ্চিত বিশ্বে ভারত ও যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।

হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও নির্বাসন: প্রসঙ্গত, ছাত্র ও জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টের শুরুতে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই তিনি ভারতে নির্বাসিত অবস্থায় রয়েছেন।

শেখ হাসিনার ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছিল, তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন, তবে ব্রিটেন তাকে গ্রহণ করেনি। ইউরোপের এই দেশটি তখন জানিয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার জন্য তাদের কোনো আইনি ব্যবস্থা নেই।

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশত্যাগের পর তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ উঠেছে এবং দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি।

টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ও দুর্নীতির অভিযোগ: বাংলাদেশের দুর্নীতির তদন্তে নাম জড়ানোর পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।

তিনি ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন এবং পদত্যাগের আগে তিনি ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক বাজারের স্বচ্ছতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ নিশ্চিত করা।

কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ একজনের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করেছিলেন। 
এছাড়া, তিনি ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিটও পেয়েছিলেন একজন বাংলাদেশি সাবেক এমপির কাছ থেকে। এসবের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আরও বিভিন্ন আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।

এ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্তের দাবিও তোলে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ