
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
গাজা যুদ্ধবিরতি এবং হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান বন্দি বিনিময়ের প্রথম পর্যায়ের ষষ্ঠ ধাপের অংশ হিসেবে শনিবার তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস ও পিআইজে।বিনিময়ে একইদিন ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ফিলিস্তিনি বন্দি মিডিয়া অফিস এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুক্তি পেতে যাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে ৩৬ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন।বাকি ৩৩৩ জন গাজার বাসিন্দা, যাদেরকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর বিভিন্ন সময়ে আটক করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে আল-কাসসাম ব্রিগেড (হামাসের সামরিক শাখা) তিনজন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
এর আগে এক বিবৃতিতে আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেন, আল-কাসসাম ব্রিগেড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শনিবার আরও তিন ইসরাইলি বন্দির মুক্তি দেওয়া হবে। তারা হলেন- আলেকজান্ডার (সাশা) টারবানভ, সাগুই ডেকেল-চেন এবং ইয়াইর হর্ন।
এর আগে বৃহস্পতিবার হামাস নিশ্চিত করে যে, তারা স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং নির্ধারিত সময়সীমা মেনে চলবে।
হামাস জানিয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের চুক্তি লঙ্ঘনজনিত প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং আলোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় হামাস এ পর্যন্ত ইসরাইলি কারাগারে বন্দি শত শত ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ধারাবাহিকভাবে ২১ জন জিম্মির মুক্তি দিয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর মূলত ১৬ জন ইসরাইলি ও পাঁচজন থাই বন্দি মুক্তি পেয়েছে। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি।
এই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে তিন সপ্তাহে মোট ৩৩ জন ইসরাইলি ও ১৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরাইল জানিয়েছে, ৩৩ জনের মধ্যে ৮ জন জীবিত নেই।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলার সময় মোট ২৫১ জনকে আটক করেছিল হামাস।জবাবে ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে নজিরবিহীন আগ্রাসন চালায়। এতে ৪৮ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়াও গাজার বিশাল অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।