প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজার অধিবাসীদের আবারও মিশর ও জর্ডানে পাঠানোর কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, এই দুটি দেশ গাজাবাসীদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। যদিও মিশর ও জর্ডান উভয়েই ট্রাম্পের দাবিকে নাকচ করেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা গাজাবাসীদের মিশর ও জর্ডানে পাঠানো ট্রাম্পের পরিকল্পনা, শুল্ক আরোপ ইত্যাদি বিষয়ি নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ফলিস্তিনিদের গাজা ছাড়া করা উচিত।
এ ছাড়া মিশর ও জর্ডানের ওপর শুল্ক আরোপের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এটি করব।’
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ট্রাম্প গাজা খালি করার পরিকল্পনার কথা জানান। তখন তিনি গাজাবাসীদের ‘নিরাপদে সরিয়ে’ মিশর ও জর্ডানে পাঠানোর কথা বলেছিলেন।
তবে মিশরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি গত বুধবার ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করা অন্যায়। আমরা এটি কোনোদিন মেনে নেব না।
অন্যদিকে জর্ডানের দ্বিতীয় রাজা আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজেদের ভূখণ্ডেরই থাকবে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার ও সুদৃঢ়।’
এ দিকে গাজা উপত্যকা পরিদর্শন করেছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ। তিনি গাজা পরিদর্শন শেষে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড পুনর্গঠনে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ বছর। গাজায় পানি নেই এবং বিদ্যুৎ নেই। সেখানে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আশ্চর্যজনক।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গাজার আড়াই হাজার শিশু মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাদের অবিলম্বে বিদেশে পাঠানো উচিত।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যায়নি উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। গত ১৫ মাসের হামলায় ৮০ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।