• ঢাকা সোমবার
    ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১

ইসরাইল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১০:০৭ এএম

ইসরাইল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর এদিনই নতুন করে দ্বিতীয় দফার চুক্তির মেয়াদ বাড়ার ঘোষণা এলো।

ইসরাইল পূর্বের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে ব্যর্থ হয়েছে। 

হোয়াইট হাউস রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে থাকা লেবানন ও ইসরাইলের মধ্যে চুক্তি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

গত ২৭ নভেম্বর ৬০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতায় ঘোষিত হয় এই যুদ্ধবিরতি।

আগের চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইল ৬০ দিনের মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী ওই এলাকায় মোতায়েন শুরু করবে। কিন্তু এখনো লেবাননে গ্রাম থেকে ইসরাইল পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করেনি।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছাড়া এই চুক্তি সম্ভব হতো না। শক্তির মাধ্যমে শান্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চলমান, যেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি বাহিনীর সংঘর্ষ তীব্র হয়। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়ায় লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সাময়িক স্থিতিশীলতা আসতে পারে, তবে এটি স্থায়ী হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এই চুক্তির প্রভাব থাকবে, বিশেষ করে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হবে, সেটিও আলোচনাও। এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর কূটনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ