• ঢাকা রবিবার
    ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০৮:৩৩ এএম

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। গতকাল শুক্রবার প্রায় ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর এ চুক্তিতে অনুমোদন দেয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। আজ শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করে ইসরায়েল সরকার। আগামীকাল রোববার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার আটজন সদস্য এই যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করেছেন। আর এই যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৪ জন সদস্য।

এর আগে শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।

গত বুধবার সন্ধ্যায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেন। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটাভুটির কয়েক ঘণ্টা আগে নেতানিয়াহু জানান, ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ করা হয়নি, এমন একটি অংশ’ যুক্ত করা হয়েছে।  

নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, হামাস শেষ মুহূর্তে ‘কিছু ছাড় জোর করে আদায়ের চেষ্টা করছে’। তাই হামাস ‘সব শর্তে সম্মত না হওয়া’ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে না। পরে শুক্রবার সকালে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। তারা যুদ্ধবিরতির জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ জনের বেশি নিহত হন। আর ইসরায়েল থেকে জিম্মি করা হয় ২৪১ জনকে। তাদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো গাজায় বন্দী রয়েছেন। হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ