প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদন বলছে, বিদ্রোহের অভিযোগে তদন্তাধীন ইউন হলেন দেশের প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে বহনকারী গাড়ি তাঁর বাসভবন এলাকা ত্যাগ করেছে।
একটি ভিডিও বার্তায় সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া ইউন বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা দুর্নীতি তদন্ত অফিসের সামনে হাজির হতে সম্মত হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যদিও এটি একটি অবৈধ তদন্ত, আমি তদন্ত অফিসের সামনে হাজির হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে কোনো অপ্রীতিকর রক্তপাত রোধ করা যায়। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের তদন্তে অনুমোদন দিচ্ছি।
মাত্র ৩ মিনিটেরও কম সময়ের ভিডিওটিতে তিনি বলেছেন, দেশে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। এটি অন্ধকারময় দিন। আপনাদের সকলের মঙ্গল কামনা করি এবং শক্ত থাকুন।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছেন, তারা ইউনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করেছেন।
ইউনের আইনজীবী সিওক ডং-হিউন ফেসবুকে একটি পোস্টে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট গুরুতর ঘটনা রোধ করার জন্য তাঁর বাসভবন ছেড়ে তদন্তকারীদের সাথে দেখা করতে সম্মত হয়েছেন। তিনিও তদন্তকে অবৈধ বলেও বর্ণনা করেছেন।
এরআগে চলতি মাসের শুরুর দিকে তাঁকে ধরতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টকে না পেয়ে ফিরে যায় তারা।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে হঠাৎ করে সামরিক আইন জারি করার পর বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়াসহ একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনকে ধরতে পদক্ষেপ নেন তদন্তকারীরা।
এক পর্যায়ে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন দেশটির একটি আদালত। একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন আইনি পদক্ষেপ এটিই প্রথম।
গত ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ছয় ঘণ্টার মাথায় তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এর জেরে বিক্ষোভের মুখে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন ইউন।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে এরপর ইউনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দেশটির সাংবিধানিক আদালতে ইউনের অভিশংসন বহাল থাকলে তাঁকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারণ করা যাবে।