প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ১০:১৫ এএম
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। গতকাল শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তাঁর জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে লন্ডনে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিনামূল্যে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচা বলেছেন, ‘কেয়ার স্টারমার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তাঁর খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের দেওয়া লন্ডনের সম্পত্তিতে বসবাস করার বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাঁর এ মন্তব্যের পরই কনজারভেটিভ পার্টির নেতা কেমি ব্যাডেনোচ টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে টিউলিপ সিদ্দিককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হলে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা বিবেচনা করছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীরা।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক-অপরাধ বিভাগের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে টিউলিপ এবং তাঁর পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নথি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টিও তদন্ত করছে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অর্থ কেলেঙ্কারিতে টিউলিপের ভূমিকা কি ছিল তা খতিয়ে দেখছে তারা।