প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ১১:৪০ এএম
যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাপক চাপে পড়েছেন। সে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সে খবর প্রকাশের পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের অফিসেও গিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, টিউলিপ তার ক্ষমতাচ্যুত খালা ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনার এক সহযোগীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এ তথ্য তিনি গোপন রেখেছিলেন।
ডেইলি মেইল জানাচ্ছে, ‘মিথ্যা কথা বলার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে। ২০২২ সালে তারা তার ফ্ল্যাট নিয়ে তদন্ত করেছিল। তখন তারা জানতে পারে, ফ্ল্যাটটি তিনি অন্য একজনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। কিন্তু তখন টিউলিপ মিথ্যা বলেন যে, এটি তার বাবা-মা কিনে দিয়েছেন।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ তাদের হুমকি দিয়েছিলেন যে, এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়নি।
বর্তমানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর ‘মিনিস্ট্রিয়াল কোড’ উপদেষ্টা তদন্ত করবেন যে, টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে ডেইলি মেইলের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছিলেন কি না।’
লেবার পার্টির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, টিউলিপের বাবা-মা ফ্ল্যাটটি কেনেননি। বরং এটি তার স্বৈরাচার খালার সহযোগীর কাছ থেকে ‘কৃতজ্ঞতার’ অংশ হিসেবে উপহার দেওয়া হয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ‘লন্ডনের বিতর্কিত ওই ফ্ল্যাট নিয়ে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি টিউলিপ যুক্তরাজ্যের জাতীয় অপরাধ সংস্থার (এনসিএ) তদন্তের মুখেও পড়তে পারেন।’
এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে টিউলিপ আছেন ব্যাপক চাপে। এরপর টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে তার পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।