• ঢাকা বুধবার
    ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১

হিন্দু এলাকায় গো-মাংস বিক্রি বন্ধে নতুন বিল

প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২১, ১১:১০ এএম

হিন্দু এলাকায় গো-মাংস বিক্রি বন্ধে নতুন বিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গরু মারা কিংবা গরুর মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে ভারতে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপ। দেশটির আসাম রাজ্যে এতদিন ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরু মারার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সে আইন বদলাচ্ছেন। এজন্য নতুন বিল নিয়ে এসেছেন। এই বিলে বলা হয়েছে, হিন্দু ও শিখ বসতি এলাকা এবং কোনো মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো-মাংস বিক্রি করা যাবে না।

সোমবার (১২ জুলাই) 'আসাম গো-রক্ষা বিল ২০২১' বিধানসভায় পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন বিলে বলা আছে, গো-হত্যার পাশাপাশি গো-মাংস খাওয়া, বেআইনি গরুপাচার বন্ধ করার কথা। আর যেসব জায়গায় মূলত হিন্দু, শিখ ও জৈনরা থাকেন সেসব জায়গায় এবং মন্দিরের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো-মংস বিক্রি করা যাবে না, কেনাও যাবে না। ভারতের অনেক রাজ্যেই গো-হত্যা বন্ধ করার আইন রয়েছে। কিন্তু গো-মাংস কোথায় বিক্রি করা যাবে বা যাবে না তা নিয়ে এই প্রথমবার আইন করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়েছে, বৈধ নথিপত্র ছাড়া কোনো রাজ্য থেকে আসামে গরু আনা যাবে না। আসাম থেকেও কোথাও গরু নিয়ে যাওয়া যাবে না

এর আগে গো-মারা কিংবা গো-মাংস বিক্রি নিয়ে ১৯৫০ সালের আইন ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ১৪ বছরের বেশি বয়সী গরু যা কাজ করতে সক্ষম নয়, তাদের কাটা যাবে। স্থানীয় পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে গরু কাটা যাবে, এমন সার্টিফিকেটও নিতে হতো।

নতুন বিলে বলা হয়েছে, মেষ, বলদ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও সার্টিফিকেট নিতে হবে। পশু চিকিৎসককে বলতে হবে যেগুলোকে মারতে চাওয়া হচ্ছে তা একেবারেই কাজ করতে পারবে না। অথবা কোনো দুর্ঘটনার ফলে তার অঙ্গহানি হয়েছে ইত্যাদি।

আসাম বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের দেবব্রত সাইকিয়া জানিয়েছেন, 'বিল নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। পাঁচ কিলোমিটার কীসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে? যেখানে ইচ্ছা পাথর ফেলে মন্দির বানিয়ে ফেলা যায়। এই বিলের ফলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়বে।'

এআইউইউডিএফ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, 'মুসলিমদের মনে আঘাত করার জন্য এই বিল আনা হয়েছে। এর লক্ষ্য বিভাজন তৈরি করা। আমরা বিলের বিরোধিতা করছি।'

অসমীয়া প্রতিদিনের দিল্লির ব্যুরো চিফ আশিস গুপ্ত ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হয়েই হিমন্ত বিশ্বশর্মা সঙ্ঘ পরিবারের কোর এজেন্ডা রূপায়ণ করতে উঠেপুড়ে লেগেছেন। এই বিলও তার সেই চেষ্টার অংশ।' 

সম্রাট/সবুজ/এএমকে
আর্কাইভ