প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২৪, ০৮:২০ এএম
যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি গ্রামে চালানো এই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন স্টেট সিকিউরিটির কর্মকর্তা রয়েছেন। এক প্রতিবেদনে সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানায়।
হিজবুল্লাহ জানায়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘলের ফলে ‘প্রাথমিক প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে কফার শুবার পাহাড়ে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়।
গত সপ্তাহে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এর পর ইসরায়েলের বিমান হামলায় দুই ব্যক্তি নিহত হন এবং জবাবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের একটি সামরিক অবস্থানে হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েল পাল্টা বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়, এতে অন্তত ৯ জন নিহত হন বলে জানায় লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দাবি, চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সেনাচৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে তারা পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তবে আইডিএফের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, আবার লেবাননে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েলই প্রথম যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
হিজবুল্লাহর হামলাকে ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েল ‘শক্তভাবে’ এর জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়েছে আইডিএফ। বিচ্ছিন্ন এসব সংঘাত একপর্যায়ে যুদ্ধে রূপ নেয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। যদিও চুক্তি ঘোষণার সময় নেতানিয়াহু বলেছিলেন, হিজবুল্লাহ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে পাল্টা হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না আইডিএফ। এরপর সোমবার পাল্টাপাল্টি হামলাকে কেন্দ্র করে নতুন করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়।