প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় নেতা কারাবন্দী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পিটিআইয়ের বেশ কিছু বিক্ষোভকারী ইসলামাবাদ শহরের কেন্দ্রস্থল ডি-চক এলাকায় পৌঁছেছেন। এরই মধ্যে সেই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে।
ঘটনাস্থল থাকা ডনের সাংবাদিকেরা জানান, পিটিআইয়ের বেশ কিছু সদস্য ইসলামাবাদের ডি-চকের কাছে বাধা এড়িয়ে জড়ো হচ্ছেন। তাঁদের বাধা দিতে সড়কে প্রতিবন্ধক হিসেবে কিছু কনটেইনার রাখা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেগুলোর ওপরও উঠে বসেছেন। অন্যদিকে সেনাসদস্যদেরও একটি কনটেইনারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
ডি-চক হলো ইসলামাবাদের অত্যন্ত সুরক্ষিত রেড জোনের একটি গোলচত্বর। দীর্ঘদিন ধরে এই চত্বর রাজনৈতিক প্রতিবাদের অন্যতম স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই এলাকায় পার্লামেন্ট হাউস, সুপ্রিম কোর্ট, সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন রয়েছে।
জিও টিভি জানিয়েছে, পিটিআই সামাজিক যোগযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মুলতান, রাজানপুর, গুজরাট, দেরা গাজি খানসহ পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরে ইন্টারনেট–সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
জিও টিভির খবরে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, সরকার সবভাবে পিটিআই নেতাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাঁরা আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সময়টা নিচ্ছেন আর রাজধানীর কেন্দ্রের দিকে এগোচ্ছেন।
নাকভি বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সাগজানিতে জড়ো হতে বলেছিলাম। তাঁদের দলের নেতৃস্থানীয় কেউই রক্তপাত চান না। তবে ভেতরে একজন গোপন নেতৃত্ব আছেন, যিনি সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।’ তিনি আরও জানান, যেকোনো উপায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইসলামাবাদের আইজিকে বলা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার ইসলামাবাদে গণমাধ্যমকে বলেন, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির উদ্দেশ্যই হলো মানুষ মারা যাক। বিক্ষোভকারীদের অনেককে অর্থ দিয়ে আনা হয়েছে। অন্যের সন্তানদের এখানে ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকবেন। এদিকে এখনো দলের হাজারো কর্মী বিশাল বহর নিয়ে স্কয়ারের দিকে আসছেন।