প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে পাকিস্তান। এরইমধ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এমনকি দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে গুলির নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ আর কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও ইসলামবাদ অভিমুখে ঢল অব্যাহত আছে পিটিআই নেতাকর্মীদের। কেউ গাড়িতে করে, কেউ পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন ইমরান খানের ডাকা চূড়ান্ত আন্দোলনে যোগ দিতে। শহরের প্রবেশমুখে কন্টেইনার দিয়েও থামানো যাচ্ছেনা তাদের।
বাধা উপেক্ষা করে স্থানীয় সময় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতেই রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায় পিটিআই নেতাকর্মীদের গাড়িবহর। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় তাদের।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকবি সাংবাদিকদের বলেন, শ্রীনগর মহাসড়কে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়ায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন জায়াগায় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন শতাধিক। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে পিটিআইয়ের ৪ হাজার নেতাকর্মীকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে গুলির নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এছাড়া পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪৪ ধারার সময়সীমা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ইসলামাবাদ অভিমুখে গাড়ি বহর নিয়ে রওনা দেন ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দাপুর। ইসলামাবাদের ডি চক এলাকায় সমাবেশ করতে যাচ্ছেন তারা।
ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মাসের শুরুতে কারাগার থেকে সমাবেশের ডাক দেন ইমরান খান। একে তিনি ‘চূড়ান্ত ডাক’ বলে অভিহিত করেছেন। এই ডাকে সাড়া দিয়ে সোমবার থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে যাত্রা শুরু করে ইমরানের সমর্থকরা। সমর্থকদের দাবি, ইমরান খানসহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।