প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ১১:০০ এএম
গেল সপ্তাহে বিদ্যুৎ প্রকল্প পেতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার অভিযোগে মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত হন ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানি। এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক জালিয়াতির খবর সামনে আসে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি চুপ থাকায়, আদানি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে যায় দলটির নাম। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে পার্লামেন্টে আলোচনার আহ্বান জানায় বিরোধী দলগুলো। তবে, নিয়ম না থাকায় অনুমতি মেলেনি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে আদানির দুর্নীতি মামলা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরপরই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।
বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আইনপ্রণেতারা। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় মুলতবি করা হয় পার্লামেন্ট। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে কংগ্রেস আদানি এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা করে আসছে। কংগ্রেস সভাপতির দাবি, আদানির জন্য বিশ্ব দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।
মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আমি জানি না কেনো পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা শুধু আদানির ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলাম। গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে ঘুষ ও জালিয়াতিসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।’
এদিনই আদানি গ্রুপের ডলার বন্ডের দাম অনেকটা নিচে নেমে আসে। কারণ বিনিয়োগকারী এবং ঋণদাতারা এই মামলাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। মার্কিন অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালে তদন্ত সম্পর্কে জানার পরও ভারত জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
তবে, আদানি গ্রুপ অভিযোগগুলো অস্বীকার করে দাবি করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে করা একত্রিত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তারা সমস্ত আইনি পদক্ষেপ নেবে।
এরমধ্যেই, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎ চুক্তি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত বাম সরকার। দেশটির আগের সরকারের সঙ্গে গোষ্ঠীটির চুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নবগঠিত মন্ত্রিসভা।