প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমনিতেই আলোচনায় আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মন্তব্য করে এ অঞ্চলেও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে, এটিই বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিককালে ট্রাম্পের প্রথম মন্তব্য; যা নিয়ে সরব হয়েছে সামাজিক মাধ্যমও।
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বিবৃতি দেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবৃতিতে, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে অভিযোগ করে, এর নিন্দা জানান সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ‘পুরোপুরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির’ মধ্যে রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু এবং ভারতীয় ভোটারদের দলে টানতেই হয়তো সামাজিকমাধ্যম এক্সে বিবৃতি দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে আলোচনা এখানেই থামছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবেও চলছে ট্রাম্পের মন্তব্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবাই যার যার মতো করেই পক্ষে-বিপক্ষে দিচ্ছেন মত।
কেউ কেউ দাবি করছেন, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের জন্য নেতিবাচক সংকেত। অনেকে আবার ট্রাম্পের কথায় গুরুত্ব দিতেই নারাজ।
অনেক নেটিজেন ট্রাম্পের এমন মন্তব্যকে শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের ফল হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এক্সে দেয়া পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের ‘ভালো বন্ধু’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, তিনি (ট্রাম্প) নির্বাচিত হলে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করা হবে।
একদিকে বাংলাদেশে ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ চলছে বলে মন্তব্য, একইসাথে আবার ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের ইঙ্গিত ভিন্নভাবেও দেখছেন অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ভারত।
এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর মতে, ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু মোদি ও তার ভারত। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আগের মতোই চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। সেটি হলে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু হিসেবেই পাশে থাকবে ভারত। আর ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকায়, বাংলাদেশকেও পাশে চাইবে ট্রাম্প।
অর্থাৎ ভারতকে পাশ কাটিয়ে বা দূরে ঠেলে বাংলাদেশ যেন কিছু না করে, ট্রাম্প সেই বার্তাও হয়তো দিতে পারেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে আসলেই কী কারণে ট্রাম্প হঠাৎ বাংলাদেশ ও ভারত নিয়ে কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়।