প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ১০:০৫ এএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সেরা মনে করেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর প্রত্যাশা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে আবারও প্রেসিডেন্ট হবেন ট্রাম্প। রিপাবলিকান নেতার শাসনকালে ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া এবং ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় নেতানিয়াহু অনেক বেশি স্বাধীনতা পাবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সাল থেকে ২০ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বেশ সুসময় কেটেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। সে সময় ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া এবং ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষার বিষয়গুলোতে বেশি স্বাধীনতা পেয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহুর প্রত্যাশা আবারও হোয়াইট হাউজে ফিরবেন ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এমন মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ইসরাইলে ইরানের হামলার পর ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে তেহরানের পারমাণবিক ক্ষেত্রে হামলার পরামর্শ দেন। যদিও, ট্রাম্প নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সমালোচনাও করেছেন। এছাড়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে ৭ অক্টোবরের হামলা হিই না। যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইলকে চাপ দেয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি।
কিন্তু ট্রাম্পের এ ধরনের অস্পষ্ট নীতি আর তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান বিবেচনায়, বিশ্লেষকরা বলছেন নেতানিয়াহুর পছন্দের প্রার্থী রিপাবলিকান নেতা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ট্রাম্প ‘নিজের সমস্যা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকবেন’ এবং নেতানিয়াহুকে তার নিজের ইচ্ছে মতো গাজা ও লেবাননসহ অন্যান্য অঞ্চলে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবেন বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, নেতানিয়াহুর জন্য ট্রাম্পের জয় কেবল একটি রাজনৈতিক সুবিধা নয়, বরং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষায় এবং আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ট্রাম্পের প্রতি নেতানিয়াহুর সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর সম্পর্ক শীতল। বাইডেন ইরানের পরমাণু স্থাপনা নিয়ে সরাসরি আক্রমণের বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছেন, যা নেতানিয়াহুর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
এদিকে, ইসরাইলের এক জনমত জরিপে জানা যায়, ৬৮ শতাংশ ইসরাইলি মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন। আর মাত্র ১৪ শতাংশ কমলা হ্যারিসকে বেছে নেন। বেশিরভাগ ইসরাইলি মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ইসরাইলের স্বার্থ রক্ষা হবে।