প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
ইরানের ওপর ইসরাইলের হামলাকে জোরালো সমর্থন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা মিত্ররা। কিন্তু এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, আফগানিস্তান এবং জাপান।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) এ খবর দিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে’।
মালয়েশিয়া অবিলম্বে শত্রু তা বন্ধ করার এবং সহিংসতার চক্রের অবসানের আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দায়মুক্তির সাথে ইসরাইলের ক্রমাগত হামলা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যত স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে থাকবে। যা এই অঞ্চলকে নিয়ে যাবে বৃহত্তর সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে’।
পৃথকভাবে, ইন্দোনেশিয়া ইরানের উপর ইসরাইলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছে, এই ধরনের উত্তেজনা এবং সংঘাতের বিস্তার আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা তেল আবিবের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করছে।
জাকার্তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সকল পক্ষকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সংযম ব্যবহার করতে হবে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং এই অঞ্চলে আরও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
জাকার্তা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের অবৈধ দখল এখনও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের মূল কারণ। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কাঠামোর মধ্যে ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়’।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পশ্চিম এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা সংযম অনুশীলন এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি। চলমান শত্রুতা কারোরই উপকারে আসে না, এমনকি নিরীহ জিম্মি এবং বেসামরিক জনগণের ভোগান্তি অব্যাহত রয়েছে।’
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী তালেবান সরকার ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে এবং একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
এদিকে, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি তার মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক হামলায় জাপান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
তবে ওই বিবৃতিতে ইসরাইলের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এতে বলা হয়, ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ায় এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে টোকিও এবং জড়িত সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও বলেছেন, ‘জাপান সরকার বিদেশে জাপানি নাগরিকদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি রোধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে’।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাতে ইরানে একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরাইল। ইসরাইলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ সেনা সদস্য নিহতের খবর জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।