প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ১২:১০ পিএম
ফিলিপাইনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানার পর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘ট্রামি’র আঘাতে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দেড় লাখের বেশি মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নিরপদ স্থানে আশ্রায় নিয়েছেন।
স্থানীয়ভাবে তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ক্রিস্টিন নামে পরিচিত ট্রামির ফলে লুজনের প্রধান দ্বীপে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হয়েছে। ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের সূত্রপাত হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থা তাদের বুলেটিনে জানায়, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ঝড়টি কর্ডিলেরার পার্বত্য উত্তরাঞ্চল হয়ে পশ্চিম দিকে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি প্রদেশে ভারি থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস ও জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানায়, গত কয়েক দিনের ঝড়ে বেশির ভাগ মৃত্যুর কারণ নাগা শহরসহ মধ্যাঞ্চলীয় বিকোল অঞ্চল পানিতে ডুবে যাওয়া ও ভূমিধস।
ট্রামি ইসাবেলা প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিভিলাকানে আঘাত হানে। শহরটির দুর্যোগ প্রধান এজিকিয়েল শ্যাভেজ জানান, এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারি বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কায় ঝড়ের পথে থাকা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সিভিল ডিফেন্স অফিস জানায়, বন্যার পানির উচ্চতা বাংলো বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উঁচু হয়ে যাওয়ায় বাসিন্দারা তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এক লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, ঝড়ের কারণে দেশজুড়ে কমপক্ষে ১২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ও মুদ্রা লেনদেন বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফিলিপাইনে সাধারণত বছরে গড়ে ২০টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় রেকর্ড করা হয়, যার ফলে বেশির ভাগ সময়ই ভারি বৃষ্টিপাত, শক্তিশালী বাতাস এবং ভয়াবহ ভূমিধস হয়।