প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৪, ১০:১২ এএম
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে ভারতীয় উপকূল পার করছে ‘দানা’। ওড়িশায় আছড়ে পড়া বা ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আগেই। এই প্রক্রিয়া কতক্ষণ চলবে, এরইমধ্যে সেই তথ্য জানা গেছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কিছুটা দুর্বল হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, তখনও ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ কখনো কখনো ১১০ কিলোমিটারেও পৌঁছে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখনও (সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের হিসাব অনুযায়ী) ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। ঘণ্টা দুয়েক চলবে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। রাত ১২টার কিছুটা পর থেকে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তেও ভারি বৃষ্টি চলছে।
এর আগে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের বুলেটিরে বলা হয়, আর এক ঘণ্টা চলবে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হলদিয়ায় ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে বৃষ্টি হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার। দিঘায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৭ মিলিমিটার।
ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যে যখন প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা’র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন উপকূলে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। প্রতিবেদন মতে, ঘূর্ণিঝড় দানা’র ‘চোখ’ নেই! কিন্তু সেই ‘চোখ’ না থাকায় কি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও ভয়ংকর হবে?
বিষয়টি নিয়ে ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিকর্তা মনোরমা মোহান্তি জানান, ‘ঠিক উল্টো বিষয়টা হবে। যেহেতু চোখ নেই, তাই অতীতে ওড়িশায় যেসব ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে, তার থেকে দুর্বল হবে দানা।’
তবে তিনি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানা’র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া বেশ ধীরগতির হবে। কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা চলবে ল্যান্ডফল। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে। ল্যান্ডফলের পরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’।