প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহতের গুঞ্জন উঠেছে। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয় সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনওয়ারের মতো দেখতে এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধার তিনটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
ইসরাইলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নিহত ওই ব্যক্তি হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার কিনা তা নিশ্চিত হতে সামরিক বাহিনী এক যোদ্ধার দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করছে।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আলজাজিরার রিপোর্টার জানিয়েছে, ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রচুর সম্পদ বিনিয়োগ করেছে।
কয়েকদিন আগে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থগিত হওয়ার কারণ সিনওয়ার’।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা নিয়ে এখনই কোনো আলোচনা হচ্ছে না এবং এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের চোখে সিনওয়ারের আলোচনায় কোনো আগ্রহ নেই। যুক্তরাষ্ট্র এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে বন্দিদের দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হিসেবে দেখছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরাইলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধার মরদেহ পায়। তারা জানত না ভবনটিতে সিনওয়ার ছিলেন নাকি ছিলেন না।
ইসরাইলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ওরি গোল্ডবার্গ বলেছেন, সিনওয়ারের নিহত হওয়ার সম্ভাবনা ইসরাইলের জন্য একটি ‘অর্থবহ ঘটনা’, তাই সেনাবাহিনী ‘১০৫ শতাংশ নিশ্চিত’ না হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করতে চায় না।