• ঢাকা শুক্রবার
    ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ৪৯ বাংলাদেশি উদ্ধার

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ১০:৪৫ এএম

তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ৪৯ বাংলাদেশি উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মৃত্যুর হাতছানি উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্র পথে ইউরোপ যাত্রার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ব্যাপক মৃত্যু জেনেও তারা এই পথ বেছে নিচ্ছে। এমন ঘটনায় বৃহস্পতিবার প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছিল। এদিন ভূমধ্যসাগরে উপকূলে ডুবে যাওয়া একটি নৌকা থেকে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী ৪৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে।

তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী এক টুইট বার্তায় বলেছে, ‌‘বৃহস্পতিবার আমাদের একটি ইউনিট নথিবিহীন ৪৯ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের বয়স ১৬ থেকে ৫০ বছর। গত ৫ জুলাই লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় তারা।’

টুইট বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ‘যাত্রা শুরুর তিন দিনের মাথায় তিউনিশিয়ার জারজিস উপকূল থেকে ৮০ মাইল দূরে নৌকাটি ভেঙে গেলে তারা বাংলাদেশি একটি তেলের ট্যাংকারে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।’

গত ৫ জুলাই তিউনিশিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর আগে ৩ জুলাই লিবিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিশিয়া উপকূলে বাংলাদেশিসহ অভিবাসন প্রত্যাশীদের একটি বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। এতে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং নৌকার অন্য ৮৪ আরোহীকে উদ্ধার করে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী।

গত ২৪ জুন ভূমধ্যসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ২৬৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করে তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড। এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের ২৬৪ জনই বাংলাদেশি। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে অবৈধপথে ইউরোপে যাওয়ার সময় ওইদিন তাদের উদ্ধারের তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শুধুমাত্র লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছেন ১১ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটি বলছে, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৬০ জন অভিবাসী মারা গেছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪০০ জন।

শামীম/নির্জন

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ